জেলা প্রতিনিধি, বাগেরহাট: অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন। চারদিকে ঘন সবুজ পরিবেশের মাঝে বুঁদ হয়ে থাকার নেশায় যে কোনো পর্যটকেরই পছন্দের স্থান সুন্দরবন। সুন্দরবনের সৌন্দর্য দেখে অভিভূত হচ্ছেন দেশি-বিদেশি পর্যটকরা। বছরজুড়ে সুন্দরবনে পর্যটকদের আসা-যাওয়া থাকলেও এই সময়ে চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।
সুন্দরবনের অভ্যন্তরে বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে এখন পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড়। এদের মধ্যে বড় একটি অংশ বিদেশি। গত দুই বছর করোনা থাকার কারণে বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা তলানিতে নেমে এসেছিল। বর্তমানে সে চিত্র পাল্টে গেছে পুরোটাই। এমন সুখবর জানান পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন।
বেলায়েত হোসেন জানান, দেশি পর্যটকদের পাশাপাশি বিদেশি পর্যটকদের আনাগোনা বেড়েছে। চলতি মৌসুমে ৩১ ডিসেম্বর-২০২২ পর্যন্ত ২২৮ জন বিদেশি সুন্দরবন ভ্রমণ করেছেন এবং এতে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৭ লাখ ৪৩ হাজার টাকা। এ ছাড়া চলতি মৌসুমে গেল রাসমেলার পুণ্যার্থীসহ ৪০ হাজার ৭৮ জন পর্যটক সুন্দরবনে এসেছেন। এর মধ্যে পুণ্যার্থী ৭ হাজার ৫২৭ জন। ৪৭৭ জন বিদেশি। দেশি-বিদেশি পর্যটক মিলে রাজস্ব এসেছে মোটি ৬২ লাখ ১২ হাজার ৮৬৫ টাকা।
সুন্দরবন ট্যুরস অ্যান্ড ট্র্যাভেলসের স্বত্বাধিকারী গোলাম রহমান ভিটু জানান, নিরাপদে সুন্দরবন ভ্রমণের জন্য শীতকালই উপযুক্ত সময়। যে কারণে সময়ের সঠিক ব্যবহার করতে পর্যটকরা সুন্দরবন আসছেন।
এদিকে দেশি-বিদেশি পর্যটক বাড়ায় খুশি পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, সম্ভাবনাময় পর্যটন খাতকে জাগিয়ে তুলতে পারলেই অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশ অনেক শক্তিশালী হবে। উন্নত দেশের মতো বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হলে পর্যটন খাতে আমাদের গুরুত্ব বা নজর দিতে হবে। আর বিদেশি পর্যটকদের আরও আকৃষ্ট করতে পারলে এ খাতে রাজস্ব অনেক বাড়বে।