মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে, এক মেয়ে এবং নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
জাতীয় প্রেসক্লাব, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ক্র্যাব সিনিয়র সদস্য ছিলেন বশির আহমদ।
বশির আহমদের ছেলে সালেহ আহমদ শাওন যুগান্তরকে জানান, বৃহস্পতিবার রাত আটটার পর তিনি বাসার বাথরুমে যান। বাথরুমে ফ্ল্যাশ করার সময় তিনি তা করতে পারছিলেন না। এ সময় তার স্ত্রী ডাকেন। স্ত্রী বাথরুমে গেলে স্ত্রীর কোলেই তিনি ঢলে পড়েন। দ্রুত তাকে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল মিরপুর শাখায় নেয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এর আগে একাধিকবার তিনি হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হয়েছিলেন। আগামীকাল বাদ জুমা কালশী কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হবে।
বশির আহমদ ১৯৪৮ সালে সুনামগঞ্জের ছাতকে জন্মগ্রহণ করেন। সিলেট এমসি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। তার সাংবাদিকতা শুরু দৈনিক আজাদে।
পরে প্রায় ২৫ বছর ধরে দৈনিক সংবাদে অপরাধবিষয়ক সাংবাদিকতা করেন। সবশেষ তার সম্পাদনায় সাপ্তাহিক পত্রিকা দেশ সমাচার বের হচ্ছিল।
এদিকে বশির আহমদের মৃত্যুতে বৃহস্পতিবার রাতে ক্র্যাব সভাপতি আবুল খায়ের এবং সাধারণ সম্পাদক দীপু সারোয়ারসহ কার্যনির্বাহী পরিষদের পক্ষ থেকে গভীর শোক জানানো হয়। পাশাপাশি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করা হয়।