লাইফস্টাইল ডেস্ক, বিডিনিউজ ১০ ডটকম: বিয়ে নিয়ে একটি মেয়ের নানারকম স্বপ্ন থাকে। তার পাশাপাশি আবার অনেক আশঙ্কাও জাগে মনে। শ্বশুরবাড়ির লোকজন, বিশেষ করে শাশুড়ি কেমন হবে এই নিয়ে নানা চিন্তা এসে ভর করে। চারপাশের পরিবেশ, সিনেমা, সিরিয়াল দেখে শাশুড়ি সম্পর্কে খুব একটা ভালো ধারণা মিলবে না এটাই স্বাভাবিক।
মনোবিদরাও বলছেন তেমন কথাই, বিয়ের পরে শাশুড়ির সঙ্গে বনিবনা না হওয়ার কারণে মানসিক অবসাদে ভুগতে শুরু করেন অনেক মেয়ে। তাই শাশুড়ির সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে হলে টুকটাক কিছু বিষয়ে ছাড় দিতে হবে আপনাকেও-
ঘর সাজানো বা রান্নাবান্না নিয়ে শাশুড়ির সঙ্গে মতবিরোধ হতেই পারে। সেজন্য খামোখা ঝগড়াঝাঁটি করতে যাবেন না। চেষ্টা করুন তার মতকেও গুরুত্ব দিতে।
শাশুড়ি যদি সবসময় তার মত আপনার উপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন, তা মেনে নেয়াও ঠিক হবে না। তবে অনর্থক চেঁচামেচি করবেন না। বরং তাকে ভালোভাবে বুঝিয়ে বলুন, আপনার উপর সবকিছু নিয়ে জোর খাটানো যাবে না।
কিছু কাজের কৃতিত্ব শাশুড়িকেও নিতে দিন। দুজনে মিলে কোনো একটি কাজ করেছেন, কিন্তু তার প্রশংসা সবটুকু শাশুড়িকেই নিতে দিন। এতে আপনার কারণে উনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবেন না।
আপনার যদি একটুতেই রেগে যাওয়ার অভ্যাস থাকে তবে কোনোরকম বাগবিতন্ডার পরিস্থিতি দেখা দিলেই সেখান থেকে সরে যান। নয়তো রেগে গিয়ে উল্টোপাল্টা কথা বললে পরে নিজেই আফসোস করবেন।
শাশুড়ির সঙ্গে তার নাতিনাতনির সম্পর্কটা একেবারেই তাদের নিজেদের। এই সম্পর্কটায় নিজে ঢুকতে যাবেন না।
আপনার শাশুড়ি কিন্তু আপনার স্বামীর মা। স্বামীর কাছে কখনোই শাশুড়ির নিন্দা করবেন না। একইভাবে স্বামীর সঙ্গে শাশুড়ির সম্পর্কেও নাক গলাতে যাবেন না।
শাশুড়ি যদি আপনাকে কখনো বাঁকা কথা বলে, তাতে মেজাজ হারাবেন না। শান্ত থাকুন। আপনার কাছ থেকে সাড়া না পেয়ে একসময় উনি নিজেই থেমে যাবেন।