ধর্ম ও জীবন ডেস্ক: রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উম্মতকে প্রত্যেক চান্দ্রমাসের মধ্যভাগে তিন দিন নফল রোজা রাখার তাগিদ দিয়েছেন। আর তা হলো প্রতি চান্দ্রমাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ। এ রোজাকে আইয়্যামে বিয বা আলোকিত দিনসমূহের রোজা বলা হয়। কারণ এই দিনগুলোতে চাঁদ সবচেয়ে বেশি আলোকোজ্জ্বল হয়।
আবু যার রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে বলেছেন, ‘হে আবু যার! তুমি মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ তিন দিন রোজা রাখবে।’ [তিরমিযি, নাসাঈ, মিশকাত]
বুখারি ও মুসলিমের বর্ণনায় এসেছে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘প্রত্যেক মাসে তিন দিন রোজা পালন সারা বছর রোজা পালনের সমান।’
আবু দারদা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘আমার প্রিয় বন্ধু (রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে এমন তিনটি কাজের ওসিয়ত করেছেন, যা আমি যতদিন বেঁচে থাকব, কখনোই ত্যাগ করব না। সেগুলো হচ্ছে: প্রতি মাসে তিনটি করে রোযা পালন করা, চাশতের নামায পড়া এবং বিতির না পড়ে ঘুমাতে না যাওয়া।’ [সহিহ বুখারি : ১১২৪, সহিহ মুসলিম : ৭২১]
প্রত্যেক মাসে ৩টি করে রোযা রাখলে সারা বছর নফল রোযা রাখার সমান সওয়াব পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ। কারণ, আল্লাহ তায়ালা যে কোনো ভালো কাজের প্রতিদান ১০ থেকে ৭০০ গুণ বা তার চেয়ে বেশি বৃদ্ধি করে থাকেন। সে হিসেবে ৩×১০=৩০ অর্থাৎ মাসে তিনটি রোজার বিনিময়ে অন্তত: পুরো মাস নফল রোযার সওয়াব পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ।
এভাবে প্রতিমাসে ৩টি রোজা রাখলে সারা বছরই নফল রোযা রাখার সমান সওয়াব পাওয়া যাবে।
আবদুল্লাহ ইবনু আমর ইবনুল আস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
ﺻﻴﺎﻡ ﺛﻼﺛﺔ ﺃﻳﺎﻡ ﻣﻦ ﻛﻞ ﺷﻬﺮ ﺻﻴﺎﻡ ﺍﻟﺪﻫﺮ
‘প্রতি মাসে তিনটি করে রোজা রাখা, সারা বছর ধরে রোজা রাখার সমান।’ [সহিহ বুখারি : ১১৫৯, ১৯৭৫]
আর রোজা হাশরের ময়দানে তার আদায়কারীর পক্ষে সাক্ষ্য দিয়ে বলবে, ‘হে আল্লাহ! তাকে ক্ষমা করো। আমি তাকে সারাদিন অভুক্ত রেখেছি।’ আর আল্লাহ বলেছেন, ‘রোজার প্রতিদান আমি নিজে দেব।’ আল্লাহ কেন এর নেকি নিজে দিতে বললেন? কারণ এর নেকি এত বেশি যা ফেরেশতারা হয়তোবা গণনা করতে সক্ষম নয়। আল্লাহু আলাম।