ঢাকা: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যুবলীগ নিয়ে গণভবনে মিটিং (বৈঠক) ডেকেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যুবলীগের চেয়ারম্যানকে কেন ডাকা হয়নি, কোন বয়স পর্যন্ত যুবলীগ করা যাবে, সেসব আলোচনা রোববারই (২০ অক্টোবর) করা হবে।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) সকালে বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠপুত্র শহীদ শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে রাজধানীর বনানীতে তার কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
রোববার যুবলীগ নিয়ে বসছেন, সেখানে যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী থাকতে পারবেন না। তাহলে কি কার্যত তিনি অপসারিত হয়েছেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, গণভবনে এই মিটিং ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে কাকে ডাকবেন আর কাকে ডাকবেন না সেটা প্রধানমন্ত্রীর বিষয়। এটা পার্টি অফিসে ডাকা হলে আমি বলতে পারতাম। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা যুবলীগকে গণভবনে ডেকেছেন। সেখান থেকে যাদের বলা হয়েছে, তারাই মিটিংয়ে যাবেন।
যুবলীগকে বয়স কাঠামোতে আনা হবে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, রোববারের মিটিংয়ে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।
সরকার বাকশালী আচরণ করছে- বিএনপির এমন অভিযোগের বিষয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপির একটি রোগ আছে। সেটা হলো- অভিযোগ। অভিযোগ নামক রোগ বিএনপিকে পেয়ে বসেছে। তারা কথায় কথায় অভিযোগ করে, নালিশ করে। এছাড়া তো তাদের আর কিছু করার নেই।
তিনি বলেন, বিএনপি রাজনীতিতে ইতিবাচক ধারায় ফিরে আসুক, এটা আমরা চাই। অভিযোগ আর নালিশের রাজনীতি বাদ দিয়ে গণরাজনীতির ধারায় ফিরে আসুক, সেটাই আশা করি।
কাদের বলেন, তারা সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছে। কিন্তু, দায়িত্বশীল বিরোধীদল হিসেবে দায়িত্বজ্ঞানহীন সব কর্মকাণ্ডই করছে তারা। নির্বাচন ও আন্দোলনে ব্যর্থ হয়েছে, এখন ইস্যু খুঁজে বেড়াচ্ছে। কোনো একটা ইস্যু পেলেই তারা তার মধ্যে রাজনীতি খুঁজে পায়।
তিনি বলেন, নিরাপদ সড়ক, কোটা সংস্কার আন্দোলন- একটা পেলেই তারা ধরে বসে। ফাহাদ হত্যাকাণ্ডে তারা ইস্যু খোঁজার চেষ্টা করেছিল। তাদের ইস্যু খুঁজে পাওয়ার রাজনীতিতে জনগণ সাড়া দেবে না। বাংলাদেশের রাজনীতিতে অবজেক্টিভ কোনো ইস্যুতে নেই।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মানব সভ্যতার ইতিহাসে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডে কোনো নারী বা অবলা শিশুকে টার্গেট করা হয় না। কিন্তু, বাংলাদেশে সব রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ও কারবালার নৃশংস হত্যাকাণ্ডে নারী-শিশু হত্যা করা হয়েছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার সময় ১০ বছরের অবুঝ শিশু রাসেলকেও হত্যা করা হয়।
এসময় সেতুমন্ত্রীর সঙ্গে পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম, কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য নুর ই আলম সিদ্দিকী হকসহ অন্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।