,

যশোর বোর্ডে বাংলা দ্বিতীয় পত্রের এমসিকিউ স্থগিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোর শিক্ষা বোর্ডে এসএসসির শনিবারের বাংলা দ্বিতীয় পত্রের নৈর্ব্যক্তিক (এমসিকিউ) পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। সেদিন কেবল সৃজনশীল অংশের পরীক্ষা নেয়া হবে।

নড়াইলের তিন কেন্দ্রে এসএসসির প্রথম দিন বাংলা প্রথম পত্রের বদলে দ্বিতীয় পত্রের নৈর্ব্যক্তিক (এমসিকিউ) প্রশ্ন সরবরাহ হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড যশোরের চেয়ারম্যান আহসান হাবীব স্বাক্ষরিত এক নোটিশে শুক্রবার বিকেলে এই স্থগিতাদেশ দেয়া হয়েছে।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন যশোর বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাধব চন্দ্র রুদ্র।

নোটিশে বলা হয়েছে, ১৭ সেপ্টেম্বর শনিবারের বাংলা (আবশ্যিক) দ্বিতীয় পত্রের বহুনির্বাচনি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। সেদিন সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত শুধুমাত্র সৃজনশীল পরীক্ষা হবে। এমসিকিউ পরীক্ষার তারিখ পরে জানানো হবে।

যশোর বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাধব চন্দ্র বলেন, ‘নড়াইলে বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষার দিনে দ্বিতীয় পত্রের এমসিকিউ প্রশ্ন দেয়ার কারণে ১৭ সেপ্টেম্বরের এমসিকিউ অংশের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।’

বৃহস্পতিবার সকালে নড়াইলের কালিয়া উপজেলার প্যারী শংকর পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, নড়াগাতী থানার বাঐসোনা কামশিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভুল প্রশ্ন দেয়ার ঘটনাটি ঘটে।

এর মধ্যে কালিয়া প্যারী শংকর পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে ১০০ পরীক্ষার্থীর মধ্যে বাংলা প্রথম পত্রের পরিবর্তে দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্ন সরবরাহ করার পর বিষয়টি পরীক্ষার্থী ও কক্ষ পরিদর্শকদের নজরে আসে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব দীপ্তিরানী বৈরাগী বলেন, ‘প্রশ্নপত্রের প্যাকেটের ওপর বাংলা প্রথম পত্রের কোড লেখা থাকার কারণে বিষয়টি খেয়াল না করেই প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হয়েছিল। পরে জানতে পেরে দ্রুত সেগুলো গুছিয়ে নেয়া হয়।

‘পরে বাংলা প্রথম পত্রের অতিরিক্ত প্রশ্নপত্র দিয়ে সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে।’

বাঐসোনা কামশিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১৫টি প্রশ্ন সরবরাহের পর বিষয়টি নজরে আসে।

এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অমলেন্দু হিরা বলেন, ‘১৫টি প্রশ্ন সরবরাহের পর বিষয়টি নজরে এলে কেন্দ্রসংশ্লিষ্টরা প্রশ্ন দেয়া বন্ধ করে দেন। পরে তা গুছিয়ে নেয়া হয়।’

আর লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রশ্ন সরবরাহের আগেই বিষয়টি নজরে আসে বলে সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।

বিদ্যালয়ের কেন্দ্র সচিব সুভাষ চন্দ্র কুণ্ডু বলেন, ‘আমাদের এখানে সরবরাহ করা একটি প্যাকেটে প্রথম পত্রের পরিবর্তে দ্বিতীয় পত্রের এমসিকিউ প্রশ্ন ছিল। এ প্যাকেটে ১০০টি প্রশ্ন ছিল। পরীক্ষার্থীদের হাতে দেয়ার আগেই বিষয়টি আমাদের নজরে আসে।’

এ বিষয়ে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ছায়েদুর রহমান বলেন, ‘বিজি প্রেসের ভুলের কারণে এ ভুলগুলো হয়েছে। যথাযথ কর্তৃপক্ষকে সব বিষয় অবগত করা হয়েছে।’

এই বিভাগের আরও খবর