,

মৃত্যুঞ্জয়ী বঙ্গবন্ধু

।।কমলেশ রায়।।টুঙ্গিপাড়ার খোকা। খোকা থেকে বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধু থেকে জাতির পিতা। তারপর তিনি সবচেয়ে উঁচু বৃক্ষকে ছাড়ালেন। পাহাড়কে ছাড়ালেন। হয়ে উঠলেন হিমালয়সম- সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি।

‘আকাশ হেলে থাকে পাহাড়ের গায়ে / মানুষ নুয়ে থাকে ভালোবাসার পায়ে।’

তাঁর ছবি দেখলে তাই ব্যাকুল হয়ে থমকে দাঁড়াতে হয়। বাঙালি মাত্রই থমকে দাঁড়ায়। শ্রদ্ধায়, ভালোবাসায়। ‘উঁচু হতে হতে এই ছবি পৌঁছে গেছে/ আকাশের কাছে…।’

বাঙালির হৃদয়ের আকাশে সবচেয়ে উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

১৫ আগস্ট আমাদের শোকের দিন। বাঙালির কাঁদার দিন। কালো কলঙ্কের দিন। ইতিহাসের অন্ধকারতম অধ্যায়। পঁচাত্তরে এই দিনে স্ত্রী বেগম শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, তিন পুত্র শেখ কামাল, শেখ জামাল ও ১০ বছরের শেখ রাসেল, দুই পুত্রবধূ ও এক সহোদর, আত্মীয়-পরিজনসহ নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হন বঙ্গবন্ধু। সেনাবাহিনীর বিপথগামী উচ্চাভিলাষী কয়েকজন সদস্যকে এই নৃশংস চক্রান্ত বাস্তবায়নে ব্যবহার করে ষড়যন্ত্রকারীরা।  সেদিন শ্রাবণের বৃষ্টি নয়, আকাশের চোখে ছিল জল। আজও বাঙালি কাঁদে। ভেজা বাতাস কাঁদে, কাঁদে প্রকৃতি। শোকে ঝরে পড়ে গাছের পাতা।

বঙ্গবন্ধুকে বাঙালি মাত্রই ভালোবাসে। তিনি তো আমাদের ভালোবাসারই আরেক নাম। তিনিও এ দেশের মানুষকে খুব ভালোবাসতেন। এ দেশের মানুষের প্রতি ছিল তাঁর অগাধ বিশ্বাস। তাঁর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক তো ভালোবাসারই সম্পর্ক।

কবি শামসুর রাহমানের ‘ধন্য সেই পুরুষ’ কবিতায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা সুন্দর উপমায় উঠে এসেছে। তিনি লিখেছেন: ‘ধন্য সেই পুরুষ, যার নামের ওপর পতাকার মতো/ দুলতে থাকে স্বাধীনতা,/ ধন্য সেই পুরুষ, যার নামের ওপর ঝরে/ মুক্তিযোদ্ধাদের জয়ধ্বনি।’

নিউজউইকের প্রখ্যাত সাংবাদিক লরেন্স জেকিংস একটি প্রতিবেদনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘পয়েট অব পলিটিক্স’ মানে রাজনীতির কবি হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। বঙ্গবন্ধুকে সত্যিকারের এক দেশপ্রেমিক ও খাঁটি নেতা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন এই মার্কিন সাংবাদিক। তিনি বলেছেন, যে সব গুণে গুণান্বিত হলে একজন মানুষ জাতীয় নেতা হয়ে উঠতে পারেন, তার সবটুকুই  ছিল বঙ্গবন্ধুর মাঝে। প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও বঙ্গবন্ধুকে তিনি কখনও বিচলিত হতে দেখেননি। বরং চরম বিপদের সময়ও তাকে হাসতে দেখেছেন। লরেন্সের এক প্রশ্নের উত্তরে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘এমন কী আমি নরকেও হাসতে পারি।’ এই উক্তিতে বঙ্গবন্ধুর যে চারিত্রিক দৃঢ়তা, অসীম সাহসিকতা ও আত্মবিশ্বাস ফুটে উঠেছিল, সেটা বিস্মিত করেছিল মার্কিন সাংবাদিককে।

তরুণ বয়সেও বঙ্গবন্ধুর উপলব্ধি ছিল অনেক গভীর। ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বইয়ে সেটার প্রমাণ পাই আমরা: ‘যেকোনো মহৎ কাজ করতে হলে ত্যাগ ও সাধনার প্রয়োজন। যারা ত্যাগ করতে প্রস্তুত না, তারা জীবনে কোনো ভালো কাজ করতে পারে নাই এ বিশ্বাস আমার ছিল। আমি বুঝতে পেরেছিলাম এ দেশে রাজনীতি করতে হলে ত্যাগের প্রয়োজন আছে এবং আমাদের ত্যাগ করতে হবে পাকিস্তানের জনগণকে সুখী করতে হলে।’ (পৃষ্ঠা ১২৮)

পাকিস্তানের রাজনীতির গতিপ্রকৃতি নিয়ে বরাবরই শঙ্কিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু। ‘কারাগারের রোজনামচা’ বইয়ে তিনি লিখেছেন: ‘আমার ভয় হচ্ছে এরা পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদী রাজনীতির দিকে নিয়ে যেতেছে। আমরা এ পথে বিশ্বাস করি না। আর এ পথে দেশের মুক্তিও আসতে পারে না। কিন্তু সরকারের এই নির্যাতনমূলক পন্থার জন্য এ দেশের রাজনীতি ‘মাটির তলে’ চলে যাবে। আমরা যারা গণতন্ত্রের পথে দেশের মঙ্গল করতে চাই, আমাদের পথ বন্ধ হতে চলেছে। এর ফল যে দেশের পক্ষে কী অশুভ হবে তা ভাবলেও শিহরিয়া উঠতে হয়। কথায় আছে অন্যের জন্য গর্ত করলে নিজেই সেই গর্তে পড়ে মরতে হয়।’ (পৃষ্ঠা ৬২)

ব্যক্তিগত বৈশিষ্ট্য ও গুণে স্বতন্ত্র বঙ্গবন্ধু আমাদের মুগ্ধ করে রাখেন। হুমায়ুন আজাদ তাঁর লেখাতে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে বলেছেন, ‘শেখ মুজিব দৈহিকভাবেই মহাকায় ছিলেন, সাধারণ বাঙালির থেকে অনেক উচুঁতে ছিলো তার মাথাটি, সহজেই চোখে পড়তো তার উচ্চতা। একাত্তরে বাংলাদেশকে তিনিই আলোড়িত-বিস্ফোরিত করে চলেছিলেন, আর তার পাশে ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর হয়ে যাচ্ছিল তার সমকালীন এবং প্রাক্তন সকল বঙ্গীয় রাজনীতিবিদ। জনগণকে ভুল পথেও নিয়ে যাওয়া যায়; হিটলার মুসোলিনির মতো একনায়কেরাও জনগণকে দাবানলে, প্লাবনে, অগ্নিগিরিতে পরিণত করেছিলো, যার পরিণতি হয়েছিলো ভয়াবহ। তারা জনগণকে উন্মাদ আর মগজহীন প্রাণীতে পরিণত করেছিলো। একাত্তরের মার্চে শেখ মুজিব সৃষ্টি করেছিলো শুভ দাবানল, শুভ প্লাবন, শুভ আগ্নেয়গিরি, নতুনভাবে সৃষ্টি করেছিলেন বাঙালি মুসলমানকে, যার ফলে আমরা স্বাধীন হয়েছিলাম।’

বঙ্গবন্ধু বাঙালির মুক্তির স্বপ্নকে সত্য করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তাঁর কারণেই জাতি পেয়েছে স্বাধীনতা, পেয়েছে একটা রাষ্ট্র, বাংলাদেশ। তিনি ছিলেন স্বপ্নের ফেরিওয়ালা । বাঙালি জাতির মাঝে তিনি স্বপ্নের আলো জ্বালিয়েছিলেন । তিনি চেয়েছিলেন বাংলাদেশ হবে দারিদ্র্যমুক্ত ও অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র। ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান: জীবন ও রাজনীতি’ বইয়ে আমরা দেখতে পাই তিনি বলেছেন, ‘আমাদের কাজ করতে হবে, আমাদের জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। বাঙালি জাতি যে প্রাণ, যে অনুপ্রেরণা নিয়ে স্বাধীনতাসংগ্রাম করেছিল, সে প্রাণ, সেই অনুপ্রেরণার মতবাদ নিয়ে অগ্রসর হতে হবে। দেশের দুঃখী মানুষকে মুক্তি দেওয়ার জন্য, তাদের মুখে হাসি ফোটাবার জন্য। এ জন্য যারা যেখানে আছেন, যারা দেশকে ভালোবাসেন, সকলকে আমি আহ্বান করব আসুন দেশ গড়ি। আসুন দেশের মানুষের দুঃখ দূর করি।’ (পৃষ্ঠা ৯০৬)

ভারতের প্রখ্যাত সাংবাদিক ও লেখক কুলদীপ নায়ার তার ‘ডিসট্যান্ট নেইবার’ বইয়ে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে বলেছেন, ‘শেখ মুজিবুর রহমানের দৃঢ় আত্মপ্রত্যয় ও অমোঘ ব্যক্তিত্ব তাকে শুধু বাংলারই একজন শ্রেষ্ঠ নেতা হিসেবে আবির্ভূত হতে সাহায্য করেছে তা নয়, তার মহান মানবতাবোধ, বিশাল অন্তঃকরণ তাকে বঙ্গবন্ধু উপাধিতেও ভূষিত করেছে।’ তার মতে, বঙ্গবন্ধু নিজেকে বিশ্বের একজন  সেরা রাজনীতিবিদ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছিলেন। আর ব্যক্তিগত গুণের মহিমায় তিনি বাংলার আপামর জনগণের নয়নমণি হতে পেরেছিলেন ও লাভ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু উপাধি।

নিউইয়র্ক টাইমসের সাংবাদিক ম্যালকম এম ব্রাউনের মতে, বঙ্গবন্ধুর অঙ্গুলি হেলনে সারাদেশ উঠত আর বসত। বঙ্গবন্ধু ছাড়া আর কারও তর্জনী এত কার্যকর হয়নি। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আবির্ভাব শুধু বাঙালি জাতির জন্য নয় বরং উপমহাদেশের জন্যই ছিল আশীর্বাদস্বরূপ।’ বঙ্গবন্ধুকে তিনি পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ নেতা হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

সাগরের মতো বিশাল হৃদয় ছিল তাঁর। মানুষের প্রতি বঙ্গবন্ধুর ভালোবাসা ছিল সীমাহীন। মানুষের কষ্ট দূর করার লক্ষ্যে তিনি ছিলেন অবিচল। সব সময় জনগণের পাশে থাকতে চেয়েছেন তিনি। ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান: জীবন ও রাজনীতি’ বইয়ে আমরা আরও দেখতে পাই মহান এক নেতাকে। তিনি বলছেন, ‘আমরা এ দেশের শাসক নই, আমরা এ দেশের সেবক, এ কথা মনে রাখতে হবে। জনগণের সেবার জন্যই আমরা নির্বাচিত হয়েছি এবং তাদের সেবাতেই আমাদের আত্মনিয়োগ করতে হবে।’ (পৃষ্ঠা ৯২৮)

বঙ্গবন্ধু সাধারণ, সহজ-সরল জীবন কাটাতেই ভালোবাসতেন। নবগঠিত বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রধান হয়েও তিনি তাই সরকারি বাসভবনের পরিবর্তে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কের সাধারণ বাড়িটিতেই থাকতেন। মার্কিন সাংবাদিক ও সাহিত্যিক অ্যানি লোপা তার স্মৃতিচারণে লিখেছেন: ‘শেখ মুজিবের সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ হয়েছিল ঘরোয়া পরিবেশে। একবারও মনে হয়নি এত বড় একজন নেতার সামনে বসে আছি। বন্ধুসুলভ মুজিব নিজে চায়ের কাপ তুলে দিলেন আমার হাতে। এমন অসাধারণ মনের পরিচয় পাওয়া কঠিন। আমার সাংবাদিক জীবনে পৃথিবীর নানা দেশ ঘুরেছি, বহু নেতানেত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি, কিন্তু বাংলাদেশের শেখ মুজিবের মতো এমন সহজ-সরল মানুষ আর পাইনি।’

মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত অপশক্তি থেমে থাকেনি। থেমে থাকেনি তাদের ষড়যন্ত্র। পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে তারা একের পর এক চক্রান্ত করতে থাকে। বঙ্গবন্ধুকে অনেক আগেই বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের খবর জানিয়ে সতর্ক করেছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। বিশেষ করে ১৯৭৪ সালের মে মাসে ভারত সফরকালে বঙ্গবন্ধুকে বিশেষভাবে সতর্ক করা হয়েছিল। ভারতের প্রখ্যাত সাংবাদিক এ এল খতিবের ‘হু কিলড মুজিব’ বইয়ে এই সতর্কবার্তার বিষয়টি উল্লেখ আছে। তার লেখাতেই পাওয়া যায়, বঙ্গবন্ধু এই সতর্কবার্তা গুরুত্বের সঙ্গে আমলে নেননি। কারণ বঙ্গবন্ধু সবসময় বলতেন: ‘আমার জনগণ আমাকে ভালোবাসে’। জনগণের ওপর অগাধ আস্থা ছিল তাঁর। ইন্দিরা গান্ধীর সতর্কবার্তাকে তাই হেসে উড়িয়ে দিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘ওরা আমার সন্তানের মতো’। এরপরও একাধিকবার সতর্কবার্তা পাঠিয়েছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। কিন্তু তিনি গুরুত্ব দেননি।

মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র সাবেক কর্মকর্তা ব্রুস রিডেল তার লেখা ‘অ্যাভয়েডিং আর্মাগেডন : আমেরিকা, ইন্ডিয়া অ্যান্ড পাকিস্তান টু দি ব্রিংক অ্যান্ড ব্যাক’ বইয়ে বলেছেন- ইন্দিরা গান্ধী দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতেন, বঙ্গবন্ধুকে  হত্যার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের ষড়যন্ত্র ছিল। তিনি লিখেছেন, ‘ইন্দিরা এক রকম নিশ্চিত ছিলেন, মুজিব হত্যার পেছনে তারাই (যুক্তরাষ্ট্র) ছিল। আর ১৯৭১ এর প্রতিশোধ নিতে এরপর তাকে (ইন্দিরা) হত্যা করতেও দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিল সিআইএ।’

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর ইন্দিরা গান্ধী বলেছিলেন, ‘শেখ মুজিব নিহত হওয়ার খবরে আমি মর্মাহত। তিনি একজন মহান নেতা ছিলেন। তার অনন্য সাধারণ সাহসিকতা এশিয়া ও আফ্রিকার জনগণের জন্য প্রেরণাদায়ক ছিল।’

বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সুসম্পর্ক ছিল তখনকার কিউবার প্রেসিডেন্ট ফিদেল ক্যাস্ত্রোর। তিনিও সতর্ক করেছিলেন। শোক প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘শেখ মুজিবের মৃত্যুতে সারা বিশ্বের শোষিত মানুষ হারালো তাদের একজন মহান নেতাকে, আর আমি হারালাম একজন অকৃত্রিম বিশাল হৃদয়ের বন্ধুকে।’ তাঁর আরেক বিখ্যাত উক্তি তো মানুষের মুখে মুখে ফেরে- ‘আমি হিমালয় দেখিনি, বঙ্গবন্ধুকে দেখেছি।’

মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী বলেছিলেন, ‘টুঙ্গিপাড়ার শেখ মুজিবের কবর একদিন সমাধিস্থলে রূপান্তরিত হবে এবং বাঙালির তীর্থস্থানের মতো রূপলাভ করবে।’ সময় যত পার হচ্ছে এই কথার সত্যতা তত বেশি করে মিলছে।

অন্নদাশংকর রায়ের কবিতাটা হয়ত সেই কারণেই আমাদের সবার কাছে প্রিয়, ‘যতদিন রবে পদ্মা মেঘনা/ গৌরি যমুনা বহমান/ ততদিন রবে কীর্তি তোমার/ শেখ মুজিবুর রহমান।’

আর একটা কথা আমাদেরকে বিশেষভাবে মনে রাখতে হবে, ‘মৃত্যুতে হয় না শেষ কোনো কোনো প্রখর জীবন।’ বঙ্গবন্ধু মৃত্যুঞ্জয়ী, তিনি চিরকাল বেঁচে থাকবেন আমাদের হৃদয়ে। পথ দেখাবেন বাতিঘর হয়ে। শোক নয়, নতুন শপথের সময় এখন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও শক্তিতে বলিয়ান হয়েই এগিয়ে যেতে হবে জাতিকে। বঙ্গবন্ধুর প্রতিটি সেটাই হবে আমাদের যথার্থ শ্রদ্ধাঞ্জলি।

লেখক: সাংবাদিক ও সাহিত্যসেবক

এই বিভাগের আরও খবর