গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি: অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর জম্মশতবার্ষিকীতে দেশের মানুষের কাছে আমাদের অঙ্গীকার সবার কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা। যখন আমাদের পদ্মা সেতু হবে, তখন এ এলাকার অর্থনৈতিক চেহারার পরিবর্তন হবে। সে সময় সকল ছেলে মেয়েদেরই কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে। আমাদেরকে আর দুঃশ্চিন্তা করতে হবে না। কারণ এটা স্বাভাবিক সারা বিশ্বে মানুষ তাদের কর্মসংস্থানের জন্য অনেক কষ্ট করেন। তারা কাজের জন্য মানুষ পায় না। আর আমাদের দেশে অনেক মানুষ আছে। আমাদের দেশের ২৫ ভাগ মানুষ লম্বা সময়েও কখনোই কর্মক্ষম জনগোষ্ঠি হয় না।
আমাদের ১৫ থেকে ৫৯ বয়সের কর্মক্ষম জনগোষ্ঠি হচ্ছে ৬১ ভাগের মতো। এরা সবাই কর্মক্ষম। এদের যারা লেখাপড়া করেছে আমরা তাদের কিছু প্রশিক্ষণ দিয়ে সুন্দর করে যাতে তারা ভাল ভাল চাকরি পায় সে ব্যবস্থা করবো। যাদের সেটা সম্ভব নয়, তারাও যাতে কিছু করে খেতে পারে সে ব্যবস্থা আমরা করে দেব অবশ্যই। আমরা এটা বলতে পারি আজকে যারা বড় হচ্ছে, যারা স্কুলে লেখাপড়া করছে। তাদের কখনো চাকরির অভাব হবেনা। এখানে চাকরি হবে। গোপালগঞ্জে আমরা ফার্মাসিউটিক্যাল ফ্যাক্টরি করে দিয়েছি। এখানে অসংখ্য কারখানা হবে।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের কাছে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর একটি চিন্তা ছিলো বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মুক্তি। এ দেশের সকল মানুষ যারা না খেয়ে থাকে, এদের খাবার যোগান দেয়া। যাদের কর্মসংস্থান নেই, তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নেয়া। নানবিধভাবে বঙ্গবন্ধুর চিস্তা চেতনায় ছিলো একটি স্বাধীন দেশ। আর স্বাধীন দেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি এবং তারা কেউ না খেয়ে থাকবে না। তাদের বাসস্থানের অভাব থাকবে না। তারা চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হবে না। একটা আলোকিত সমাজব্যবস্থা তিনি কায়েম করার চেষ্টা করেছিলেন। এর মাধ্যমে স্বপ্ন দেখতেন একদিন বাঙ্গালী জাতি সারা বিশ্বের মানচিত্রে মাথাউঁচু করে সবার উপরে অবস্থান নেবে। এ ছিল বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন। আমরা সেই স্বপ্নটি বাস্তবায়ন করার জন্য যাযা করা দরকার, আমরা অবশ্যই তা করবো।
এর আগে মন্ত্রী টুঙ্গিপাড়া পৌঁছে জাতির জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। পরে তিনি পবিত্র ফাতেহাপাঠ ও বঙ্গবন্ধুর রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া মোনাজাত করেন।
এ সময় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব এ্যাড.শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, অর্থমন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, গোপালগঞ্জে জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কাজী শহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান, আওয়ামী লীগ নেতা শেখ রুহুল আমিন, শেখ লুৎফার রহমান বাচ্চু, এস.এম আক্কাস আলী, রাজিউদ্দিন আহম্মেদ রাজু, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নাকিব হাসান তরফদার, পৌর মেয়র শেখ আহম্মেদ হোসেন মীর্জা, ওসি এএফএম নাসিম, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাবুল শেখ, প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তা, আওয়ামীলীগ ও সহযোগি সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।