,

মুকসুদপুরে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে কর্মচারীর পলায়ন!

জেলা প্রতিনিধি, গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে ব্যাংক থেকে চেকের মাধ্যমে দোকান মালিকের টাকা তুলে প্রীতিশ দাস (৪০) নামে এক দোকান কর্মচারী পালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

উপজেলার জলিরপাড় বাজারে মা কালি শঙ্খ ভান্ডার ও ভ্যারাইটিজ স্টোরে এ ঘটনা ঘটেছে। প্রীতিশ দাস জলিরপাড় ইউনিয়নের বানিয়ারচর গ্রামের যদুনাথ দাসের ছেলে।

এ ব্যাপারে দোকান মালিক সজল কীর্ত্তনিয়া বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, জলিরপাড় বাজারে সজল কীর্ত্তনিয়ার দোকানে ২০২০ সাল থেকে প্রীতিশ ২০ হাজার টাকা বেতনে কর্মচারী হিসেবে কাজ করে আসছেন।

মালিকের অনুপস্থিতিতে প্রীতিশ নিজেই দোকান পরিচালনা ও আয়-ব্যয়ের হিসাব রাখতেন। বিশ^স্ততার কারণে দোকান মালিক সজল ব্যাংকে টাকা লেনদেন ও দোকানের মালামাল কেনাকাটা করতে সজলকে পাঠাতেন। গত ৩ জুন দোকান মালিক সজল তার নিজ নামে অগ্রণী ব্যাংক, জলিরপাড় বাজার শাখার একটি চেক প্রীতিশের নামে ৩ লাখ টাকা লিখে তাকে টাকা উত্তোলনের জন্য ব্যাংকে পাঠান। ব্যাংক থেকে প্রীতিশ ফিরে না আসায় তার মুঠোফোনে কল দিয়ে বন্ধ পান সজল। পরে ব্যাংকে খোঁজ নিয়ে সজল জানতে পারেন প্রীতিশ টাকা উত্তোলন করে নিয়ে চলে গেছেন। এরপর প্রীতিশের বাড়িতে খোঁজ নিতে গেলে পরিবারের লোকজন কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। পরে প্রীতিশের কর্মকান্ডে দোকান মালিকের আরো সন্দেহ হলে তিনি দোকান হিসাব মিলিয়ে দেখেন সেখানেও গত ৬ মাসে প্রায় ৫ লাখ টাকার মালামাল আত্মসাৎ করেছেন। যা ওই বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করেছেন প্রীতিশ।

এদিকে, প্রীতিশের বিরুদ্ধে মামলা করায় পল্টন থানার ওসি (অপারেশন) হিরোনময় বাড়ৈ পরিচয়ে এক ব্যক্তি মোবাইলে মামলার বাদী সজলকে বাড়ি থেকে তুলে নেয়া, মামলায় ঠুকে দেয়াসহ নানা ধরণের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

অভিযুক্ত প্রীতিশ দাসের মুঠোফোনে কল দিলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় জানতে পেরে ফোনের সংযোগ বিছিন্ন করে দেন।

এই বিভাগের আরও খবর