,

মুকসুদপুরে নিখোঁজ স্কুল ছাত্রের লাশ মিললো পুকুরে

লাশ উদ্ধারের পর স্যামুয়েল সরকারের বাড়িতে স্বজনদের আহাজারি।

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি: গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে নিখোঁজের দুই দিন পর স্যামুয়েল সরকার (১১) নামে এক স্কুল ছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

রোববার (২৫ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার কৃষ্ণনগর চককোনা গ্রামের একটি পুকুর থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় রিংকু মজুমদার (৩০) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। রিকু ওই উপজেলার কলিগ্রামের প্রভাষ মজুমদারের ছেলে।

নিহত স্যামুয়েল সরকার মুকসুদপুর উপজেলার কলিগ্রামের দানিয়েল সরকারের ছেলে ও কার্লভেড়ী এ্যাপস্টনিক মিশনারিজ স্কুলের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্র।

লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী দুপুরে কলিগ্রামে স্যামুয়েল হত্যাকারীর ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল বের করে।

মুকসুদপুর থানার সিন্দিয়াঘাট পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. আবুল বাশার জানান, ‘গত শুক্রবার সকাল ৮ টার দিকে স্যামুয়েলকে পাখি শিকারের কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় প্রতিবেশী রিংকু মজুমদার। এরপর সে বাড়ি ফিরে না আসায় বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেও তার সন্ধান মেলেনি। পরে স্যামুয়েলের বাবা দানিয়েল সরকার সিন্ধিয়াঘাট পুলিশ ফাঁড়িতে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ওই দিনই পুলিশ রিংকু মজুমদারকে আটক করে।’

ওই পুলিশ কর্মকর্তা আরো জানান, রিংকু মজুমদারের স্বীকারোক্তি মোতাবেক রোববার দুপুরে ওই পুকুর থেকে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। লাশের মুখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।

নিহতের মা জুলিয়া টিয়া সরকার বলেন, ‘গত শুক্রবার সকাল ৮ টার দিকে আমার ছেলে স্যামুয়েলকে প্রতিবেশী রিংকু মজুমদার পাখি শিকার করার কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর থেকে আমার ছেলে নিখোঁজ ছিল। ঘটনার দিন বিকেলে রিংকুকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে এলোমেলো কথা বলতে থাকে। শুক্রবার রাতে আমার স্বামী পুলিশের কাছে অভিযোগ করলে পুলিশ ওই রাতেই রিংকুকে আটক করে। আমার একমাত্র ছেলেকে রিংকু হত্যা করেছে। আমি এ হত্যাকান্ডের বিচার চাই।

মুকসুদপুর থানার ওসি মোস্তফা কামাল পাশা বলেন, অভিযুক্ত রিংকুকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পাশাপাশি এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

এই বিভাগের আরও খবর