,

মাঘে আষাঢ়ের বৃষ্টি, জেঁকে বসছে শীত

File Photp

নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘যদি বর্ষে মাঘের শেষ, ধন্যি রাজার পূণ্য দেশ’ খনার বচন মতে মাঘের শেষের বৃষ্টি ক্ষেতের ফসলের জন্য ভালো। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার দিনভর দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি ধান ও আমের জন্য আর্শিবাদ হয়ে এলেও আলুসহ বিভিন্ন রবি ফসলের জন্য সর্বনাশ ডেকে এনেছে। হিমেল হাওয়ার ঝাপটা ভোগান্তিতে ফেলেছে হতদরিদ্র শীতার্ত মানুষদের। পরিসংখ্যান বলছে, ফেব্রুয়ারি মাসের এ সময়ে এত বেশি বৃষ্টিপাত বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে আর হয়নি। এ যেন মাঘ মাসে আষাঢ় নেমে এসেছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, গত কয়েকদিন ধরে বিশেষ করে দেশের উত্তরাঞ্চলে তীব্র শীত অনুভুত হচ্ছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে পশ্চিমা লঘুচাপ। এর প্রভাবে ঢাকা, রাজশাহী রংপুর ও খুলনা বিভাগের অধিকাংশ এলাকায় বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির সঙ্গে রয়েছে হালকা দমকা হাওয়া। উত্তরাঞ্চল ও খুলনা বিভাগের জেলাগুলোতে বৃষ্টি বেশি হয়েছে। এতে করে ধান বাদে রবি শস্য, আলু, মসুর, পেঁয়াজ, রসুনসহ বিভিন্ন ফসল নিয়ে বিপাকে পড়েছেন চাষীরা। দিনভর বৃষ্টি ও জোরে বয়ে চলা শীতল বাতাসে কাজের খোঁজে পথে নামা শ্রমজীবি মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছে। হতদরিদ্র ভাসমান মানুষের দুর্ভোগ বাড়িয়ে দিয়েছে এই শীতল হাওয়া ও বৃষ্টি।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে মাঘের শেষ সময়ে এই বৃষ্টিতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শীত আরও জেঁকে বসতে পারে। রোববার থেকে বৃষ্টি কমবে তবে তাপমাত্রও কমবে।

শুক্রবার তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন ১১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে খুলনায়, ৪৫ মিলিমিটার। এ ছাড়া রাজশাহীতে ২৫ মি.লি. ঈশ্বরদীতে ৩৫ মি.লি. বগুড়ায় ২৯ মি.লি. দিনাজপুরে ৪১ মি.লি. রংপুরে ৩৪ মি.লি. এবং ঢাকায় ১১ মি.লি. বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ আব্দুল মান্নান জানিয়েছেন, এবার ফেব্রুয়ারি এই সময়ে দেশে যে পরিমাণ বৃষ্টিপাত হলো তা গত ৫০ বছরও হয়নি। শনিবারও এমন আবহাওয়া থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক। তিনি বলেন, শৈত্যপ্রবাহ কেটে যাওয়ার পর দুয়েকদিন তাপমাত্রা বেড়েছে। তবে পশ্চিমা লঘুচাপের প্রভাবে শুক্রবার বৃষ্টি হচ্ছে, শনিবারও হবে। রোববার থেকে আকাশ পরিষ্কার হলেও তাপমাত্রা কমবে।

এই বিভাগের আরও খবর