বিডিনিউজ ১০ ডটকম ডেস্ক: আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে অন্যান্য যানবাহন চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সাংবাকিদরা বাইক চালাতে পারবেন। তবে তাদেরকে অবশ্যই নির্বাচন কমিশন কর্তৃক সরবরাহ করা স্টিকার ব্যবহার করতে হবে। আর ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ গাড়ির বৈধ সব কাগজপত্র সঙ্গে রাখতে হবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) আশাদুল হক এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, সাংবাদিকদের বাইকের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে কমিশন। বৃহস্পতিবারই এ সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করা হবে। তবে সব সাংবাদিকদের ইসির স্টিকার ব্যবহার করতে হবে।
এর আগে নির্বাচন কমিশন ঘোষণা দিয়েছিল- নির্বাচনের সময় সাংবাদিকরাও বাইক চালাতে পারবেন না। ইসি জানিয়েছিল- বিশেষ করে নির্বাচনের দিন ও আগে-পরে মিলিয়ে ৪ দিন কেউ বাইক ব্যবহার করতে পারতে পারবে না। এমনকি সাংবাদিকদের মোটরসাইকেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল।
২১ ডিসেম্বর সাংবাদিক বাইক চালানোসহ নিষিদ্ধসহ নানা কড়াকড়ি আরোপ করেছিল ইসি। এজন্য একটি নীতিমালাও জারি করা হয়। এরপর থেকে সম্পাদক পরিষদসহ সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন প্রতিবাদ জানায়। এমনকি ইসির কাছে লিখিত আবেদনও করা হয়। ২৫ ডিসেম্বর ইসি ভবনে কমিশনের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় সাংবাদিকরা এর প্রতিবাদ জানায়। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও ইসির সঙ্গে বৈঠকের সময় সাংবাদিকদের চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা চলাচলের বাধা দূর করার অনুরোধ করে।
এদিকে শনিবার রাত ১২টা থেকে ভোটের দিন ৩০ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত যানবাহন চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ইসি। এই সময় বেবি টেক্সি/অটোরিকশা/ইজিবাইত, ট্যাক্সি ক্যাব, মাইক্রোবাস, জিপ, পিকআপ, কার, বাস, ট্রাক, টেম্পোসহ স্থানীয় যন্ত্রচালিত যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকবে।
আর আগামীকাল শুক্রবার দিবাগত ১২টা থেকে ১ জানুয়ারি দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত মোট চার দিন সারাদেশে মোটরসাইকেল চালানো নিষিদ্ধেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে সাংবাদিকরা ইসির স্টিকার ব্যবহার করে বাইক চালাতে পারবেন।
জানা গেছে, যান চলাচলের নিষেধাজ্ঞার সময় রিটার্রিং কর্মকর্তার অনুমতি সাপেক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও তাদের নির্বাচনী এজেন্ট, দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকদের (পরিচয়পত্র থাকতে হবে) ক্ষেত্রে শিথিলযোগ্য। তাছাড়া নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত সাংবাদিক (পরিচয়পত্র থাকতে হবে), নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, নির্বাচনের বৈধ পরিদর্শক ও কতিপয় জরুরি কাজ যেমন- অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ডাক, টেলিযোগাযোগ ইত্যাদি কাজে নিয়োজিত যানবাহনে নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে।
এ ছাড়া মহাসড়ক, বন্দর ও জরুরি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিষেধাজ্ঞা শিথিলের বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন বলে নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ২৯৯টি আসনে টানা ভোটগ্রহণ চলবে। এক প্রার্থীর মৃত্যুজনিত কারণে গাইবান্ধা-৩ আসনে ভোটগ্রহণ পিছিয়ে ২৭ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে।