শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টার দিকে অসুস্থদের হাসপাতালের মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। তারা হলেন: নগরীর রূপাতলীর জমজম নার্সিং কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সেতু দাস ও জামিলা আক্তার এবং প্রথম বর্ষের বৈশাখী আক্তার ও তামান্না সুলতানা রাবেয়া।
ওই কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, নার্সিং ও ম্যাট্স অনুষদের ছাত্রীদের হোস্টেলে থাকা বাধ্যতামূলক। ইন্সটিটিউটের ৫ম তলায় ম্যাটস্ এবং ৬ষ্ঠ তলায় আবাসিক ছাত্রীর থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। বেশ কয়েকদিন ধরে আবাসিক ছাত্রীদের কেউ কেউ রাতের বেলা ছাদে হাঁটাহাঁটির শব্দ শুনতে পাচ্ছিলেন। বিষয়টি ওই হোস্টেলে বসবসকারী সকল ছাত্রীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনাকে তারা ভুতের উপস্থিতি বলে বিশ্বাস করে। শুক্রবার রাতেও হোস্টেলের ছাদে ভুতের উপস্থিতি অনুভব করেন তারা। এতে পুরো ছাত্রী হোস্টেলে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। এসময় জামিলা এবং অপর ৩ ছাত্রী অজ্ঞান হয়ে পড়ে।
এই খবর পেয়ে বয়েজ হোস্টেলে থাকা ছাত্ররা সেখানে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে বলেন হোস্টেলের বাবুর্চি মালেকা বেগম।
এ ব্যাপারে ইন্সটিটিউটের জনসংযোগ কর্মকর্তা মুন্সি এনাম জানান, আবাসিক ছাত্রীদের ভীতি দূর করতে কাউন্সিলিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছিলো। ছাত্রীদের দাবির প্রেক্ষিতে হুজুর এনে মিলাদ-দোয়ার আয়োজন করা হয়। এরপরও তাদের ভয় কাটেনি, উল্টো তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে কোতয়ালী থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। কোতয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক রিয়াজুল ইসলাম জানান, কেন এমন ঘটনা ঘটলো তা তদন্ত চলছে। এদিকে এই ঘটনার পর ৬০ শিক্ষার্থীর মধে ৪৫ জন হোস্টেল ছেড়ে বাড়ি চলে গেছে।