আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জনগণের কাছে না গিয়ে বিদেশীদের কাছে ধর্না দেওয়ার মধ্য দিয়েই জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দেউলিয়াত্ব প্রকাশ পেয়েছে। তিনি বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের দেশের মানুষের প্রতি আস্থা নেই। তাই তারা শুরুতেই বিদেশীদের আস্থায় নিয়েছেন।
সেতুমন্ত্রী কাদের আরো বলেন, তাদের (জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট) গোড়াতেই গলদ। জনগণকে আস্থায় না নিয়ে তারা বিদেশীদের আস্থায় নিতে চাইছে। এতেই তাদের দেউলিয়াত্ব প্রমাণ হয়। সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আজ জেলার চন্দ্রায় ঢাকা-গাজীপুর-টাঙ্গাইল মহাসড়কের ফোরলেন উন্নীতকরণ কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন,‘ গত ১৩ অক্টোবর জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনের পর প্রথমবারের মত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে তাদের বৈঠক বেশ আলোচনার খোরাক জুগিয়েছে। কূটনীতিকদের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয়েছে, এই ফ্রন্টের নেতা কে, তারা ক্ষমতায় এলে প্রধানমন্ত্রী কে হবেন?’ তিনি বলেন, তবে আপাতদৃষ্টিতে ফ্রন্টের নেতৃত্বে ড. কামাল হোসেন থাকলেও ভবিষ্যতের প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, সে প্রশ্নের জবাব তিনি সংসদের হাতে ছেড়ে দিয়েছেন।
কাদের বলেন, ‘যদি জনগণের প্রতি তাদের আস্থা থাকত, তাহলে ঐক্যফ্রন্ট গঠনের পর প্রথম তারা কেন বিদেশিদের সঙ্গে সাক্ষাত করলেন? তারা জনগণের কোনো সমাবেশে যায়নি। এর মধ্য দিয়ে প্রমাণ হয় এরা কতটা দেউলিয়া, এরা কতটা জনসমর্থনহীন।’ তিনি বলেন,জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনের পর অবশ্য জনগণের কাছে যাওয়ার কর্মসূচিও এসেছে। আগামী ২৩ অক্টোবর সিলেটে সমাবেশের আবেদন করেছে তারা। যদিও পুলিশ এখনও সে অনুমতি দেয়নি।
কাদের বলেন, ‘সিলেটে ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশ বন্ধ করা হয়নি। নিরাপত্তাজনিত কারণে আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘এরা ১০ বছর ধরে আন্দোলনের ডাক দিয়ে বারবার ব্যর্থ হয়েছে। জনগণ এখন নির্বাচনের আমেজে আছে, কেউ এখন আন্দোলনের দিকে তাকিয়ে নেই। ঐক্যের ডাকে জনগণ সাড়া দেয়নি, আন্দোলনের ডাকে জনগণ সাড়া দেবে?’
সেতুমন্ত্রী কাদের আরো বলেন, ‘জনগণ উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিতে চায়। সেই ভোটমুখী জনগণকে আন্দোলনমুখী যারা করতে চাইবে, তারা বোকার স্বর্গে বাস করছে।’ চন্দ্রা ফ্লাইওভারের কাজ ৯০ ভাগ শেষ হয়েছে জানিয়ে কাদের বলেন, আগামী দুই মাসের মধ্যেই এ ফ্লাইওভার চালু করা হবে। এ সময় সড়ক ও জনপথ বিভাগের ঢাকা বিভাগীয় প্রকৌশলী সবুজ উদ্দিন খান ও সড়ক বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।