,

বাবার কবরে মাটি না দিয়েই কারাগারে নাজমুল

জেলা প্রতিনিধি, পটুয়াখালী: বাবার মৃত্যু সংবাদ পেয়ে জেল থেকে প্যারোলে মুক্তিতে এসে জানাজা পড়লেও বাবার কবরে মাটি দেয়া হয়নি ছাত্রদল নেতা নাজমুল মৃধা। এমনকি সবার সাথে জানাজায় অংশগ্রহণও করতে পারেননি তিনি।

ছোট্ট পরিসরে আলাদাভাবে নিজ বাড়িতে বাবার জানাজা পড়েন নাজমুল। জানাজা নামাজ পড়া শেষেই তাকে আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনাটি পটুয়াখালীর মিজার্গঞ্জ উপজেলার পশ্চিম সুবিদখালী গ্রামের। নাজমুল মিজার্গঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক।

জানা যায়, শনিবার দুপুরে প্যারোলে মুক্তির পর কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ডান্ডাবেড়ি নিয়েই বাবার জানাজায় অংশগ্রহণ করেন ছাত্রদল নেতা নাজমুল। বাবার লাশ দাফনের আগেই তাকে আবার জেলহাজতে পাঠানো হয়। এ ঘটনার বেশ কয়েকটি ছবি ছড়িয়ে পড়লে নিন্দার ঝড় ওঠে এলাকাজুড়ে।

স্থানীয়রা জানান, ছাত্রদল নেতা নাজমুলের বাবা মোতালেব হোসেন মৃধা(৬৭) নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টায় বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ছাত্রদল নেতা নাজমুলের বাবার জানাজার নির্ধারিত সময় বিকাল ৫ টায় উপজেলার সুবিদখালী সরকারি র.ই পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে থাকলেও, ওই জানাজায় অংশগ্রহণ করতে পারেননি ছাত্রদল নেতা নাজমুল।

প্যারোলে মুক্তির পর থেকে পুরোটা সময় জুড়ে ডান্ডাবেড়ি পরা অবস্থায় ছিলেন ওই  ছাত্রদল নেতা। নাজমুলের বাবা মোতালেব মৃধা তিনিও বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন। উপজেলার দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ছিলেন বেশ কয়েক বছর।

ছাত্রদল নেতা নাজমুলের বড় ভাই রাসেল মৃধা বলেন, নাজমুল এমন কোনো মামলার দন্ডপ্রাপ্ত আসামী না যে তাকে বাবার জানাজা পড়াকালীন ডান্ডবেড়ি পড়িয়ে রাখা হবে। তাছাড়া তাকে যে মামলায় আসামী করে গ্রেফতার করে জেলা হাজতে পাঠানো হয়েছে, সেটি ২০২২ সালের একটি পুরাতন মামলা। আজ বিএনপির রাজনীতি করি বলে বাবার জানাজায় ডান্ডবেড়ি পড়ে ছোট ভাইকে অংশগ্রহণ করতে হলো। এমনকি বাবার কবরে এক টুকরো মাটিও দিতে পারেনি ছোটভাই নাজমুল। তার আগেই তাকে আবার জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার তিব্র নিন্দা জানিয়েছেন পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।

উল্লেখ্য,গত ১৯ ডিসেম্বর রাতে নিজ বাসার সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয় ছাত্রদল নেতা নাজমুল মৃধাকে। পরে একটি বিষ্ফোরক মামলার আসামী করে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়।

এই বিভাগের আরও খবর