গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি: গোপালগঞ্জ থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি যাওয়ার নৌপথ রক্ষার উদ্যোগ নিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
এ উপলক্ষ্যে শনিবার পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মেজর (অবঃ) জাহিদ ফারুক শামীম টুঙ্গিপাড়া থেকে গোপালগঞ্জ পাঁচুড়িয়া পর্যন্ত সাড়ে ১৭ কিলোমিটার এ নৌপথ পরিদর্শন করেছেন।
গোপালগঞ্জ পাচুড়িয়া থেকে নৌকায় করে বর্ণি বাওর হয়ে বঙ্গবন্ধু টুঙ্গিড়পাড়া গ্রামের বাড়িতে যাতায়াত করতেন। এ নৌরুটি উদ্ধার করে পানি উন্নয়ন বোর্ড সংরক্ষনে প্রকল্প গ্রহণ করে।
আগামী ৮ জানুয়ারী থেকে এ নৌ-পথের খনন কাজ শুরু হবে বলে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী মেজর (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম জানিয়েছেন। ২০২০ সালের আগেই এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে বলে গোপালগঞ্জ পানি উন্নয়নবোর্ড জানিয়েছে।
এ সময় পানিউন্নয়ন বোর্ডের মহা-পরিচালক মো. মাহফুজুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী এ.কে. এম ওয়াহেদউদ্দিন চৌধুরী, তত্ত্ববধায়ক প্রকৌশলী আব্দুল হেকিম, গোপালগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বিশ্বজিৎ বৈদ্যসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহা-পরিচালক মো. মাহফুজুর রহমান গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পরে তারা পবিত্র ফাতেহাপাঠ ও বঙ্গবন্ধুর রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া মোনাজাত করেন।
এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. ইলিয়াস হোসেন, উপজেলা চেয়ারম্যান সোলায়মান বিশ্বাস, পৌর মেয়র শেখ আহম্মেদ হোসেন মীর্জা, উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি শেখ শুকুর আহম্মেদ, যুগ্ম সম্পাদক এমদাদুল হক বিশ্বাসসহ গোপালগঞ্জ টুঙ্গিপাড়ার পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী সামনে রেখে আমরা বঙ্গবন্ধুর অম্লান স্মৃতি রক্ষার্থে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত নৌরুট রক্ষার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। এ নৌরুট দিয়েই জাতির পিতা গোপালগঞ্জ-টুঙ্গিপাড়া যাতায়াত করতেন। এ নৌরুট আমরা পরিদর্শন করেছি। নৌরুটির খনন কাজ আগামী ৮ জানুয়ারী শুরু করা হবে। পরে সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ শুরু করা হবে।
গোপালগঞ্জ পানিউন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বিশ্বজিৎ বৈদ্য বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি অমর করে রাখতেই পানি উন্নয়ন বোর্ড বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত এ নৌরুট সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে।