,

ফরিদপুর মেডিকেলে অবাঞ্ছিত ছাত্রলীগ নেতারা

জেলা প্রতিনিধি, ফরিদপুর: ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাশতুরা মোশাররফ ঐষিকা এবং সাধারণ সম্পাদক ইমরুল হাসান জীমকে আজীবন ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে।

এছাড়া বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) সনদ স্থগিতসহ তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের সুপারিশ করা হয়েছে।

বুধবার দুপুরে কলেজের একাডেমিক কাউন্সিল তাদের নিজস্ব সম্মেলন কক্ষে এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়। এছাড়া আরও ১৬ জন ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ইন্টার্নশিপ বাতিল, সনদ স্থগিত, ক্যাম্পাস ও ছাত্রাবাস থেকে বহিষ্কারসহ বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থার সুপারিশ করা হয়েছে।

এদের মধ্যে নুজহাত তাবাসসুম নামে এক নেত্রীকে ক্যাম্পাসে আজীবন অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। অন্যদিকে পাঁচ বছরের জন্য ইন্টার্নশিপ স্থগিত ও আজীবনের জন্য ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা, ছাত্রবাস থেকে আজীবন বহিষ্কার ও মামলা করার সুপারিশ করার হয়েছে নাইম আল ফুয়াদ খানকে, সৌরভ পাল ও ইমরান হোসেনের বিরুদ্ধে। চার বছরের ইন্টার্নশিপ স্থগিত ও আজীবন ছাত্রাবাস থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে আশরাফুল কবির নাহিদকে। তিন বছরের ইন্টার্নশিপ স্থগিত ও আজীবন ছাত্রাবাস থেকে বহিষ্কার হয়েছেন আল নাহীয়ান খানকে।

দুই বছর একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বহিষ্কার ও আজীবন ছাত্রাবাস থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে আজিজুল হক প্রান্ত, সাদমান প্রান্ত ও ইফতেখার আহমেদকে। এক বছর একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বহিষ্কার ও আজীবন ছাত্রাবাস থেকে থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে অনুজ বিশ্বাসকে। মাসুক উল্লাহ মুগ্ধ, আকিফুর ফারহান, প্রান্তিক চন্দ্র মোহন্ত, তাজবিন আহমেদ, মাহমুদুল হাসান ও শামীম রেজা আয়নকে ছয় মাস একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বহিষ্কার ও আজীবন ছাত্রাবাস থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ সূত্রে জানা যায়, উল্লেখিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে কলেজের শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের কাছে বিভিন্ন বিষয়ে অভিযোগ দেন। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ফারুক আহমেদকে আহ্বায়ক করে ছয় সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ দিলরুবা জেবা বলেন, আজকের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন ও সুপারিশ নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়। পর্যালোচনা শেষে একাডেমিক কাউন্সিলে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, গত ২৪ আগস্ট কলেজের একাডেমিক কাউন্সিলের এক সভায় কলেজের ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে ছাত্রলীগের কারও সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।

এই বিভাগের আরও খবর