বিনোদন ডেস্ক: ২০২০-২১ অর্থবছরে সরকারি অনুদান পেয়েছে ১০টি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। এর মধ্যে ‘শিরিনের একাত্তর যাত্রা’ অন্যতম। এর প্রযোজক দীপক চৌধুরী ও পরিচালক এমদাদুল হক খান। সম্প্রতি এই নির্মাতা অভিযোগ করেন তাকে না জানিয়েই চলচ্চিত্রের শুটিং করা হচ্ছে।
রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বরাবর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন নির্মাতা এমদাদুল হক খান।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, ‘শিরিনের একাত্তর যাত্রা’ সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত। সেখানে পরিচালক হিসেবে তার নাম ও প্রযোজক হিসেবে দীপক চৌধুরীর নামে প্রজ্ঞাপন হয়। কিন্তু অনুদান প্রাপ্তির দেড় বছর পার হলেও বারবার তাগাদা দেওয়ার পরও দীপক চৌধুরী তাকে কোনো স্ক্রিপ্ট প্রদান করেননি, এমনকি তাকে নিয়ে কয়েকটি শুটিং লোকেশন দেখলেও শুটিংয়ের বিষয়ে কিছুই জানাননি। গত ৭ সেপ্টেম্বর চিত্রগ্রাহক রিপন রহমান খানের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন, চলতি বছরের ৯, ১০, ১১ সেপ্টেম্বর গাজীপুরের হোতাপাড়ায় ‘শিরিনের একাত্তর যাত্রা’র শুটিং হচ্ছে।
এ বিষয়ে দীপক চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, ‘শুটিংয়ের সব কিছু ফাইনাল। সব কিছু রিপন রহমান খান ও সহকারী পরিচালক গাজী জাকির হোসেন ঠিক করেছেন। তুমি চাইলে শুটিং দেখতে যেতে পারো, তবে কোনো কাজ করতে পারবে না।’ বিষয়টি একজন পরিচালকের জন্য অসম্মানজনক। মন্ত্রণালয়ের বিনা অনুমতিতে এবং মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত পরিচালককে বাদ দিয়ে শুটিং করা হয়েছে। শুটিংয়ে অংশ নেন শহিদুল ইসলাম সাচ্চু, শিরিন আলম, তাহমিনা অথৈ, সাদমান, লাবন্যসহ বেশ কয়েকজন শিল্পী। মূল পরিচালককে বাদ দিয়ে সহকারী পরিচালককে দিয়ে শুটিং সম্পন্ন করায় স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটি মান নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এ ছাড়া, বিষয়টি সরকারি অনুদানের নীতিমালা লঙ্ঘন হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সাবেক সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা অনিয়ম। মূল পরিচালককে বাদ দিতে চাইলে তার কাছে অনাপত্তিপত্র নিতে হবে। পাশাপাশি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে অনুমতি নিতে হবে।’
বিষয়টি জানতে দীপক চৌধুরীকে একাধিকবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি।