সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে ইন্টারনেটের নেটওয়ার্ক বিপর্যয় আর কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালিতে ভেস্তে গেছে কমিউনিটি ক্লিনিকের মাল্টিপারপাস হেলথ ভলেনটিয়ার নিয়োগ পরীক্ষা।
পরীক্ষা দিতে আসা দেড় হাজার পরীক্ষার্থীর হট্টগোল, চেঁচামেচিতে বাধ্য হয়ে পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
কাজিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তার অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর উপজেলার ৫১টি কমিউনিটি ক্লিনিকের জন্য ৩৪০ জন মাল্টিপারপাস হেলথ ভলেনটিয়ার নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এতে এক হাজার ৮৫৮টি দরখাস্ত জমা পড়ে। যাচাই বাছাই শেষে কর্তৃপক্ষ ইতিপূর্বে দুইবার পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করে এবং প্রতিবারই অজ্ঞাত কারণে পরীক্ষার তারিখ পিছিয়ে দেওয়া হয়।
এদিকে, তৃতীয় দফায় খাতায় লিখিত পরীক্ষা নেওয়ার পদ্ধতি থেকে সরে এসে স্মার্টফোনে ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র তৈরি ও উত্তর প্রদানের নিয়ম রেখে তৃতীয় দফা পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করে। সে মোতাবেক আজ শুক্রবার (৯ নভেম্বর) কাজিপুর সরকারি মনসুর আলী কলেজে সকাল ১০টা থেকে দুই দফায় পরীক্ষা নেওয়ার প্রস্তুতি চলছিল।
সরেজমিনে পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় শুরুতেই পরীক্ষার্থীদের কারো ফোনেই গ্রামীণফোনের ইন্টারনেট সংযোগ পাওয়া যায়নি। ফলে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে না পেরে হট্টোগোল করতে থাকে। এ সময় অবস্থা বেগতিক দেখে কর্তৃপক্ষ দ্রুত পরীক্ষা স্থগিতের ঘোষণা দেন।
মনসুরনগরের দুর্গম চরাঞ্চল থেকে আসা ফাতেমা খাতুন ক্ষোভ প্রকাশ কালের কণ্ঠকে জানান, প্রতিবার পরীক্ষা দিতে আসতে ২০০ টাকা খরচ হয়। কিন্তু কর্তৃপক্ষতো এর জন্য কোনো টাকা দেবে না।
কাজিপুর উপজেল স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কর্মকর্তা ডা. সিরাজুল ইসলাম পরীক্ষা বিভ্রাটের কথা স্বীকার করেন। তিনি জানান, অল্প পরিসরে সহস্রাধিক মোবাইল ফোনের ব্যবহারের কারণে এমনটি ঘটে থাকতে পারে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তীতে পরীক্ষার সময় ও পদ্ধতি ঠিক করা হবে।
এদিকে, বারবার পরীক্ষার সময় পেছানো ও অবশেষে পরীক্ষা দিতে এসে ফিরে যাওয়ায় পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।