,

ধর্ষণ মামলায় জামিন পেয়েই তুলে নিয়ে বিয়ে

জেলা প্রতিনিধি, গাইবান্ধা: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে এক কিশোরীকে (১৫) ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলায় ১৩ মাস জেল খেটে জামিনে বের হয়ে ওই কিশোরীকে তুলে নিয়ে বিয়ের ঘটনা ঘটেছে।

উপজেলার কাপাশিয়া ইউনিয়নের ভাটিকাপাশিয়া দালালপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত আনারুল ইসলাম (২৯) ওই গ্রামের ছলিম উদ্দিনের ছেলে। ​২২ ফেব্রুয়ারি কিশোরীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যান আনারুল ও তার সহযোগীরা।

পুলিশ জানায়, আনারুল তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে সুন্দরগঞ্জে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। এসব মামলায় গ্রেফতার হয়ে কয়েকবার জেল খেটেছেন।

গত বছরের ৭ জানুয়ারি কিশোরীকে অপহরণ করেন আনারুল। এরপর গাইবান্ধা সদর উপজেলার বাদিয়াখালীর একটি বাড়িতে আটকে রেখে ধর্ষণ করেন। খবর পেয়ে ১০ জানুয়ারি ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে কিশোরীকে উদ্ধার এবং আনারুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই দিনই থানায় অপহরণ ও ধর্ষণের মামলা করেন কিশোরীর বাবা। এরপর থেকে কারাগারে ছিলেন আনারুল।

কিশোরীর পরিবার জানায়, চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি জামিনে বেরিয়ে কিশোরীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় আনারুল ও তার সহযোগীরা। এরপর বিয়ের কথা জানায়। কিছু বলতে গেলে কিশোরীর মা-বাবাকে হত্যার হুমকি দেয়।

কিশোরীর মা বলেন, আমরা দিনমজুর পরিবার। আনারুলের ভয়ে কিছু বলতে পারছি না। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমার মেয়ের বয়স কম। পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। আনারুল মেয়েকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গেছে। এখন বলছে, বিয়ে করেছে। কাউকে কিছু বললে হত্যা করবে বলে হুমকি দেয়।

অভিযুক্ত আনারুল ইসলাম বলেন, তুলে নয়; সে নিজেই আমার বাড়িতে এসেছে। এর আগেও এসেছিল। তখন তার পরিবারের মামলায় ১৩ মাস জেল খেটেছি। এখন তাকে বিয়ে করে সংসার করছি।

১৫ বছরের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে কীভাবে বিয়ে করলেন এমন প্রশ্নের জবাবে আনারুল ইসলাম বলেন, আপনার এত কিছু জানার দরকার নেই।

সুন্দরগঞ্জের কঞ্চিবাড়ি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোকলেছুর রহমান সরকার বলেন, আনারুলের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। কয়েকবার তাকে গ্রেফতারও করা হয়েছিল। পরে জামিনে ছাড়া পায়।

তিনি বলেন, ওই কিশোরীকে ধর্ষণের মামলায় জামিনে রয়েছে আনারুল। শুনেছি জামিনে বের হয়ে কিশোরীকে তুলে নিয়ে বিয়ে করেছে। পরিবার অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই বিভাগের আরও খবর