যশোর প্রতিনিধি: যশোরে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মাদ্রাসার সুপারকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। সোমবার (২৮ অক্টোবর) বিকালে জেলা ঈমাম পরিষদের নেতার উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত সালিশে (বিচার) সুপার রাকিব উদ্দিন দোষ স্বীকার করেন। এরপর সন্ধ্যায় তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তিনি যশোর সদর উপজেলার চাঁনপাড়ার দারুল উলুম খাদেমুল কোরআন মাদ্রাসার সুপার।
স্থানীয়রা জানান, ৭ বছরের এই মেয়েটি ওই মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে। শনিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে মেয়েটিকে নিজের বাড়িতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে ওই মাদ্রাসা সুপার। পরবর্তীতে মেয়েটির শরীরে রক্ত দেখে তার মায়ের সন্দেহ হয়। আর জিজ্ঞাসাবাদে সে তার সঙ্গে ঘটা সব ঘটনা মাকে জানায়।
এরপর স্থানীয়দের কাছে বিচারের দাবি জানান শিশুটির মা। তার দাবিতে সাড়া দিয়ে সোমবার (২৮ অক্টোবর) সকালে একদফা সালিশী বৈঠক বসে। বিকালে আরো একদফা সালিশী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এসময় জেলা ঈমাম পরিষদের নেতা মুফতি মুজিবর রহমানসহ স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।
এ বৈঠকে মাদ্রাসা সুপার রাকিব উদ্দিন ধর্ষণের কথা স্বীকার করলে তাকে সন্ধ্যার পর চাঁনপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মিলন কুমার মন্ডলের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে রাত ৮টার দিকে কোতোয়ালি থানায় পাঠানো হয় তাকে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন যশোর সদর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের ইউপি সদস্য লাভলী পারভীন। তিনি জানান, রাকিব উদ্দিন খুলনার পাইকগাছার বাসিন্দা হলেও যশোর পৌরসভার মোল্যাপাড়ার ভোটার। চাকরির কারণে সে মাদ্রাসার পাশেই থাকে। তার এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে।
এদিকে মাদ্রাসার সুপার রাকিব উদ্দিনকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ডিউটি অফিসার এসআই জিয়া।