,

দিনাজপুরে বীজতলা তৈরীতে ব্যস্ত কৃষক

দিনাজপুর প্রতিনিধি: আমন ধান কাটা শেষ হতে না হতেই দিনাজপুরে আগাম বোরো বীজতলা তৈরীতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে কৃষকরা।

এ বছর ২ লাখ ৫৬ হাজার ১৩২ হেক্টর জমিতে বোরো ধান রোপণ করা হবে বলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, আমন ধান কাটা এখনো পুরোপুরিভাবে শেষ হয়নি। এখনও ১৫ ভাগ ক্ষেতে পাকা ধান রয়েছে। আমন মৌসুম শেষ হতে না হতেই জেলার ১৩টি উপজেলার কৃষকরা আগাম বোরো বীজতলা তৈরীতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। একদিকে চলছে কর্তন মাড়াইয়ের উৎসব অন্যদিকে আগাম বোরো ফসল উৎপাদনের জন্য বীজতলা তৈরির কাজ।

আগামী ১০ দিনের মধ্যে অবশিষ্ট পাকা ধান কাটা হবে। আমন ধান কাটা হলেই আগাম বোরো বীজতলা রোপণ করা হবে।

এ বিষয়ে ক্ষুদ্র প্রান্তিক শ্রেণির কৃষকেরা জানায়, চলতি বছর আমন ধানের আশানুরূপ ফলন হয়েছে। তবে ধানের দাম নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে কৃষকেরা ।

দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার ৭নং দাউদপুর ইউনিয়নের দুমাইল গ্রামের কৃষক লতিফ মিয়া বাংলানিউজকে জানান, তার দুমাইল গ্রামের কিছু জমিতে এখনো পাকা ধান কাটা হয়নি। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরামর্শে তিনি আগাম বোরো বীজতলা তৈরী শুরু করেছেন। নতুন জমি তৈরী হতে ১০ থেকে ১৫ দিন সময় লাগবে। জমি তৈরী হলেই এই বীজতলা রোপণ করবেন।

একই কথা বলেন দিনাজপুর সদর উপজেলার পূর্ব ফরিদপুর গ্রামের কৃষক হাফিজুর রহমান। তিনি  জানান, আগাম আমন ধান চাষ করে এবার কৃষকরা কিছু লাভ করেছে। তাই কিছু কিছু জমিতে আগাম বোরো বীজতলা তৈরী করছেন যা কিছুদিন পর নতুন জমিতে রোপণ করবেন। আবহাওয়া প্রতিকূল থাকলে এবার বোরো ধানেরও বেশি ফলন পাওয়া যাবে।

দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. গোলাম মোস্তফা জানান, আগাম বোরো বীজতলা তৈরীর জন্য প্রতিটি উপজেলার কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বীজতলা তৈরির কাজে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে ইউনিয়ন ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ।

এই বিভাগের আরও খবর