জেলা প্রতিনিধি, গাজীপুর: শনিবার বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গাজীপুরের শিল্পনগরী টঙ্গীতে প্রস্তুতি সভা থেকে ৫৭ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় ওই রাতেই বিশেষ ক্ষমতা আইনে পলাতক ১২ জনসহ ৬৯ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করে পুলিশ। মামলার পর থানার হাজতখানায় পর্যাপ্ত স্থান না হওয়ায় টঙ্গী পশ্চিম থানা ও গাছা থানায় নেতাকর্মীদের স্থানান্তর করা হয়। টঙ্গী পূর্ব থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) শাখাওয়াত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছেন- সুমন সিকদার (৪২), মো. সেলিম (৪৮), শাহাদাত খান (২৭), সাত্তার চৌধুরী (৫০), শেখ মো. শামীম রেজা (৩৫), জাহাঙ্গীর আলম (৬৪), মো. নিজাম (৩৭), মো. কাজল (৩৫), জসিম উদ্দিন (৪৮), আবু তাহের (৪৯), মতিউর রহমান ওরফে নাজমুল (৪৮), মো. রাব্বী (৩২), শহীদুল আলম লিটন (৫০), নাজিম হোসেন (৫৩), সরাফত হোসেন (৫৩), মো. সালাউদ্দিন (৫৬), মমিনুর রহমান (৩০), আমজাদ হোসেন (৬০), মামুন মৃধা (৩৫), সৈয়দ সামিউল আলম রনি (৩৯), আ. সালাম (৩২), মান্নান খাঁন (৫০), আকিবুর রহমান (২৫), বেলায়েত হোসেন চৌধুরী (৫৭), মাসুদ রানা (৪৩), সাইফুল আলম (৪৮), মামুনুর রশীদ (৩২), শাহরিয়ার জামান প্রান্ত (২৮), আহসান উল্লা (৪৮), খোরশেদ আলম (৪৪), আ. হালিম (৪১), নাহিদ হাসান হৃদয় (২৫), এনামুল হক পারভেস (২৭), হৃদয় রহমান (২৯), সৈয়দ জাকির হোসেন (৫৭), মোশারফ হোসেন (৪৪), আমিরুল ইসলাম (৪৫), আ. রউফ (৫৮), আল মুনসুর ওরফে টটুল (৪৩), আসাদুজ্জামান রাজু (৪০), কাউসার আলী (৩৫), কামরুল হাসান (৫৩), হেলাল উদ্দিন (৩৯), শাহিন চৌধুরী (৪৭), জসিম দেওয়ান (৫৮), মান্নান হোসেন (৩৮), নুরুজ্জামান (৪২), নয়ন সরকার (২৯), হোসেন আলী (৪২), মিরাজ (৩০), সোহরাব হোসেন (৪৬), শেখ মো. রুবেল (৩৮), নূরে আলম (৫৫), আ. মোমেন (৫২), নজরুল ইসলাম (৪২), আসাদুজ্জামান (৫৫), খাইরুল ইসলাম (৩৮)।
পলাতক আছেন- সালাউদ্দিন সরকার (৬২), সরকার জাবেদ আহম্মেদ সুমন (৫২), গাজী সালা উদ্দিন (৪৫), রাসেদুল ইসলাম কিরণ (৫০), বেনজির রহমান পিন্টু (৪৩), আকবর হোসেন ফ্রুক (৫২), মোক্তাদির আহম্মেদ টিপু মোল্লা (৩৮), আসাদুজ্জামান মামুন (২৫), খাইরুল বাশার আকাশ (২৫), আরিফুল হক প্রধান (৪০), সিরাজুল ইসলাম সাথী (৩৬) ও মনির সরকার (৪০)।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কলেজগেট এলাকায় কেন্দ্রীয় শ্রমিক দলের কার্যকরী সভাপতি সালাহউদ্দিন সরকারের বাসায় মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে প্রস্তুতি সভা চলাকালে বিএনপির ৫৭ নেতাকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় সালাহউদ্দিনকে পুলিশের গাড়িতে উঠানো হলেও অসুস্থতার অজুহাতে থানায় আনা হয়নি। পরে থানায় রুজুকৃত মামলায় তাকে পলাতক দেখানো হয়। বিএনপি নেতাদের গ্রেফতার করে থানায় আনার পর গাছা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি আসাদুজ্জামান অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে প্রথমে টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে ও পরে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, সালাউদ্দিন সরকারের বাড়িতে বিএনপি নেতাকর্মীরা নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড সৃষ্টির লক্ষ্যে মশাল ও লাঠিসোটা নিয়ে জমায়েত হচ্ছেন- এমন সংবাদের ভিত্তিতে ওই বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় বিএনপির উপস্থিত নেতাকর্মীর মধ্যে উল্লেখিত ৫৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এজাহার নামীয় অন্য ১২ জনসহ ৯০-১০০ জন পালিয়ে যান। অভিযানকালে বিএনপি নেতাকর্মীদের কাছ থেকে ১০টি মশাল, ১৫টি বাঁশের লাঠি, ৫টি এসএস পাইপ ও ২ লিটার পেট্রল জব্দ করে পুলিশ।
টঙ্গী পূর্ব থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) শাখাওয়াত হোসেন বলেন, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা রুজু শেষে শুক্রবার তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।