,

জোরালো আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি

বিডিনিউজ ১০ ডটকম: সরকারবিরোধী জোরালো আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি। এজন্য মাঠপর্যায়ে দল গোছানোর কাজ চলছে। একই সঙ্গে সরকারবিরোধী বৃহৎ প্ল্যাটফর্ম তৈরির পরিকল্পনাও নিয়েছে দলটি। সমালোচনা থাকা সত্ত্বেও জামায়াতকে সঙ্গেই রাখার পক্ষে হাইকমান্ড। এভাবে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে সরকারবিরোধী সফল আন্দোলন গড়ার জোর চেষ্টার কথা জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা।

কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনের অংশ হিসেবে আপাতত ইস্যুভিত্তিক কর্মসূচি দিয়ে মাঠে নামার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বিএনপি। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে ৫ ফেব্রুয়ারি সারাদেশের ছয়টি মহানগরে সিরিজ সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। ইতোমধ্যে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার ও হয়রানির প্রতিবাদে গত বৃহস্পতিবার সারাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশও করেছে। একই সঙ্গে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ‘বীরউত্তম’ খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ দলটি দু’দিনের বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এসব কর্মসূচির মাধ্যমে নেতাকর্মীদের ধীরে ধীরে রাজপথমুখী করার কৌশল নিয়েছে দীর্ঘদিন রাজপথবিমুখ বিএনপি।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সমকালকে বলেন, আমরা এখন দল পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার মধ্যে আছি। পুনর্গঠন প্রক্রিয়া মোটামুটি একটি পর্যায়ে এসেছে। এর মধ্যে আমরা অন্য দলগুলোর সঙ্গে কথাও বলতে শুরু করেছি। পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে আমরা ভবিষ্যতে কী করব। যেহেতু বিএনপি একটি উদারপন্থি রাজনৈতিক দল, সেহেতু আমরা অবশ্যই মনে করি, নির্বাচনই হচ্ছে একমাত্র ক্ষমতা পরিবর্তনের পথ। তবে আন্দোলন ছাড়া বর্তমানে বাংলাদেশের ক্ষমতা পরিবর্তনের সম্ভাবনা খুব কম। সেজন্যই আমরা সংগঠনকে শক্তিশালী করছি।

সূত্র জানায়, ২০১৪ সালে ‘দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঠেকাও আন্দোলন’ এবং পরের বছর সরকারবিরোধী আন্দোলন ব্যর্থ হওয়ার পর রাজপথের জোরালো আন্দোলন থেকে এক প্রকার সরে আসে দলটি। পরে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে হরতাল-অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচি দিলেও সেখানে নেতাকর্মীদের সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি। এমনকি ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগারে নেওয়া কিংবা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরও দলটি রাজপথে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেনি। এ সময় তারা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকে প্রাধান্য দেন। তবে দলটির তরুণ ও অধিকাংশ নেতা মনে করছেন, এ ধরনের শান্তিপূর্ণ আর নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন দিয়ে সরকার পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। দলের এ অংশের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দলের বড় একটি অংশ একমত পোষণ করছেন। এ কারণে দলকে দুর্বার আন্দোলনমুখী করতে তৃণমূল বিএনপিকে শক্তিশালী করা হচ্ছে। এ জন্য নানাবিধ কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে।

সাংগঠনিক তৎপরতা :২০১৮ সালে তারেক রহমান দলের হাল ধরার পর থেকে সাংগঠনিক ভিত্তিকে মজবুত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। সারাদেশে সাংগঠনিক ইউনিট কমিটি পুনর্গঠন করার প্রচেষ্টা চলে। পাশাপাশি রাজপথের আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালনকারী অঙ্গসংগঠনগুলোকেও ঢেলে সাজানোর কার্যক্রম শুরু হয়। এর মধ্যে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলকে প্রাধান্য দিয়ে

সারাদেশের ওয়ার্ড-ইউনিয়ন থেকে এসব সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে নানাবিধ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে এসব অঙ্গসংগঠনের বেশিরভাগ ইউনিট কমিটি গঠন কার্যক্রম শেষ হয়েছে। সারাদেশের ৮০টি সাংগঠনিক ইউনিট কমিটির মধ্যে ৩০টি জেলা কমিটি ভেঙে নতুন আহ্বায়ক কমিটি এবং আটটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে এসব কমিটির মধ্যেও বেশিরভাগ আবার মেয়াদোত্তীর্ণের তালিকায় রয়েছে। রাজপথের ত্যাগী আর যোগ্যদের নিয়ে এসব কমিটি গঠন করায় তৃণমূল বিএনপি এখন যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি শক্তিশালী বলে নেতারা মনে করছেন। সবকিছু ঠিক করে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে রাজপথে দৃশ্যমান কর্মসূচিতে ফেরার জন্য দলের নেতাকর্মীদের প্রতি এক ধরনের বার্তা রয়েছে বলেও দলীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে।

চোখ ঢাকায় :আন্দোলনের মূল মাঠ রাজধানী ঢাকাকে প্রস্তুত করতে নেওয়া হচ্ছে নানা পরিকল্পনা। এর মধ্যে খুব শিগগির মেয়াদোত্তীর্ণ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির কমিটিকে ভেঙে আন্দোলনমুখী কমিটি গঠন করা হবে বলে জানা গেছে। এ কমিটিতে বিগত দিনের পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের স্থান দিতে একটি টিম কাজ করছে। ত্যাগী ও যোগ্য নেতাদের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। এ কমিটির সঙ্গে বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড কমিটি গঠনেও বিশেষ নজর দেওয়ার সিদ্ধান্ত রয়েছে। এ ছাড়া ঢাকাকেন্দ্রিক বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কমিটিগুলোকেও আন্দোলনমুখী করে পুনর্গঠনের কার্যক্রম চলছে। অন্যদিকে, মান-অভিমানে দল থেকে দূরে সরে যাওয়া নেতাকর্মীদের ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। যোগ্য ও ত্যাগী হিসেবে পরিচিত এসব নেতাকর্মীকে দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত রয়েছে। বিশেষ করে ছাত্রদলের সাবেক নেতাদের একটি বড় অংশ রয়েছেন রাজনীতির বাইরে। তাদের টার্গেট করা হয়েছে বলে সূত্র জানায়।
বিষয়ভিত্তিক সেল গঠন :সংগঠনকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি দলকে গতিশীল করতে মিডিয়া সেল, প্রযুক্তি ও গবেষণা সেল, প্রচার সেল, আইনি সহায়তা সেলসহ বিভিন্ন বিষয়ে কার্যকর সেল গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এসব সেলে প্রবীণ ও তরুণদের সমন্বয়ে দায়িত্ব দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করেছে দলটি। পরিবর্তন আনা হচ্ছে কূটনৈতিক উইং শাখায়। এখানে পুরোনোদের সঙ্গে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ও আন্তর্জাতিকভাবে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নতুন মুখ নিয়ে আসা হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ এই সেলকে আবার বিভিন্ন ফ্রন্টকেন্দ্রিক দায়িত্ব দেওয়া হবে বলে সূত্র জানায়।

আন্দোলনের প্রস্তুতি :করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে দলটি সভা-সমাবেশের মতো কর্মসূচি পরিহার করে ভার্চুয়ালি বৈঠক-মতবিনিময় সভা করছে। চলমান শীত মৌসুমে একইভাবে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত রয়েছে। তবে এর মধ্যেও যে কোনো সময় যে কোনো প্রয়োজনে রাজপথে নামার জন্য তৃণমূল বিএনপির একটি বড় অংশকে প্রস্তুত রাখতে প্রতিনিয়ত তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন দলের হাইকমান্ড। বিগত দিনে আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্ত নেতাকর্মীদের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়ে একটি প্রচ্ছন্ন বার্তা দেওয়ারও চেষ্টা করছেন দলের হাইকমান্ড। ঝুঁকি যত বড়ই হোক, দল তার পাশে থাকবে- এমন মনোভাব গড়ে তোলা হচ্ছে প্রতিটি নেতাকর্মীর মধ্যে। ফলে আন্দোলনকালীন বিএনপি একটি বড় সংখ্যক নেতাকর্মীকে সক্রিয়ভাবে মাঠে নামাতে পারবে বলে মনে করছেন শীর্ষ নেতারা। দল গোছানোর দীর্ঘ প্রক্রিয়ায় রাজপথের বিশ্বস্ত নেতাকর্মীদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে দলীয় সূত্র জানায়।
বৃহৎ জাতীয় ঐক্য গঠনের প্রস্তুতি :এসব কার্যক্রমের সঙ্গে সরকারবিরোধী বৃহৎ প্ল্যাটফর্ম তৈরির কাজও অনেকটা এগিয়ে আনা হয়েছে। এই প্ল্যাটফর্মে ডান-বাম সব মতাদর্শকে এক কাতারে, এক মঞ্চে নিয়ে আসা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে প্রায় সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে বলেও জানান বিএনপির একজন নেতা। একই সঙ্গে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোটকেও সক্রিয় করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। আপাতত এই দুই জোট নিষ্ফ্ক্রিয় থাকলেও নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ অক্ষুণ্ণ রয়েছে বলে দাবি বিএনপি নেতাদের।

এ ছাড়া নেতারা দুই জোটের বাইরের বেশ কয়েকটি বাম দলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। জামায়াতে ইসলামীকে ২০ দলীয় জোটের সঙ্গে রেখে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে বামসহ অন্য ইসলামী দলগুলোকে নিয়ে জোট করার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত রয়েছে দলটির।

জামায়াতকে ছাড়ছে না বিএনপি :নতুন জোট গঠনে বিএনপির মধ্যে নানা মত রয়েছে। এর মধ্যে কেউ কেউ দুই জোটকে ভেঙে সরকারবিরোধী একটি জোট করার পক্ষে মত দিচ্ছেন। সে ক্ষেত্রে জামায়াতকে নিয়ে সমস্যা তৈরি হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। আবার অনেকে মনে করছেন, এই সরকারকে সরাতে হলে ডান-বাম

মতাদর্শকে ভুলে গিয়ে এখন এক প্ল্যাটফর্মে আসতে হবে। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, রাজপথের আন্দোলনে জামায়াত অন্যান্য দলের থেকে বেশি শক্তিশালী। একইভাবে ভোটের রাজনীতিতেও এসব দলের চেয়ে অনেক বড়। তাই সরকারকে সরাতে হলে এসব ভেদাভেদ ভুলে একসঙ্গে আন্দোলনে নামতে হবে। তাহলে সফলতা আসবে। এই নেতাদের মতামতের বাইরে আরেকটি পক্ষ চাচ্ছে শুধু ২০ দলীয় জোটকে স্বতন্ত্র রেখে বৃহৎ জোট গঠন করা দরকার। এতে কারও মধ্যে কোনো ভেদাভেদ থাকবে না। তবে এসব কিছু প্রাথমিক আলোচনার মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে। চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি।

বিএনপি নেতারা বলছেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনের জন্য জোট গঠনের আগে ২০ দল, ঐক্যফ্রন্ট, বাম দলসহ অন্য ছোট-বড় যেসব দল আছে, তাদের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা করা হবে। একটি নির্দিষ্ট দাবিতে যারাই একমত হয়ে আসবে, সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করা হবে। এতে একই প্ল্যাটফর্মে এসেও আন্দোলন করা যায়, আবার যুগপৎ আন্দোলনও করা যায়। তাই সময় যখন আসবে, তখন এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোট :একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ড. কামাল হোসেনের গণফোরাম, আ স ম আবদুর রবের জেএসডি, বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকীর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, মাহমুদুর রহমান মান্নার নাগরিক ঐক্য নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করে বিএনপি। ২০ দলীয় জোট আলাদা রেখেই এ ফ্রন্ট করা হয়। নির্বাচনে ফল বিপর্যয়ের পর ঐক্যফ্রন্ট গঠন নিয়ে দলের ভেতরে নানা আলোচনা-সমালোচনা হয়। ২০ দলের শরিকরা এ নিয়ে নানা প্রশ্ন তোলেন। ঐক্যফ্রন্টের কার্যক্রমে অসন্তোষ প্রকাশ করে জোট ত্যাগ করেন কাদের সিদ্দিকী। এ রকম অবস্থায় গত বছরের শুরুর দিকে ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে কয়েকটি কর্মসূচি পালন করা হলেও পরে আর কোনো তৎপরতা দেখা দেয়নি। নির্বাচনের পর ২০ দলীয় জোটও অনেকটা নিষ্ফ্ক্রিয়। এর মধ্যে আবার মার্চ থেকে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হলে দুই জোটের সঙ্গে রাজনৈতিক কার্যক্রম আরও নিষ্ফ্ক্রিয় হয়ে পড়ে। এমন অবস্থায় ফের বৃহত্তর জোট গঠন নিয়ে তৎপরতা শুরু করেছে বিএনপি। এর পাশাপাশি ঐক্যফ্রন্টের শরিক দলগুলোও নিজেদের মতো করে যোগাযোগ শুরু করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে।

এ বিষয়ে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এই সরকারকে সরাতে হলে গণআন্দোলনের বিকল্প নেই। এর জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, রাজপথে নামতে হবে। দেশের গণতন্ত্র উদ্ধারে এর কোনো বিকল্প নেই বলেও তিনি জানান।

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি সহসভাপতি তানিয়া রব বলেন, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে ঐক্যফ্রন্টের সে রকমের দৃশ্যমান কার্যক্রম না থাকলেও জোটের মতামত ও সিদ্ধান্ত এখনও একই আছে। এই সরকারকে সরাতে হলে ঐক্যবদ্ধ হওয়া ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। দেশের গণতন্ত্র আর ভোটাধিকারের প্রয়োজনেই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ইতোমধ্যে তারা বিভিন্ন ফ্রন্টের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন বলে জানান তিনি।

এই বিভাগের আরও খবর