,

জাজিরায় ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

জেলা প্রতিনিধি, শরীয়তপুর: শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম মালতকে (৪২) কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তিনি স্থানীয় বিএম মোজাম্মেল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক ছিলেন।

মঙ্গলবার (০৭ জুন) দিবাগত রাত ১০টার দিকে জাজিরার উত্তর খোসাল সিকদার কান্দি গ্রামে দুর্বৃত্তরা তাকে কুপিয়ে আহত করে। রাত ১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

জাজিরা পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইলিয়াছ মাদবর ও জাজিরা উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি সেলিম মাদবর গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডে জরিত থাকার অভিযোগে সুজন ফকির (৩০) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, জাজিরার উত্তর খোসাল সিকদার কান্দি গ্রামের মৃত কিনাই মালতের ছেলে সাইফুল ইসলাম মালত। তিনি জাজিরা উপজেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ছিলেন। সেনেরচর বিএম মোজাম্মেল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক।

মঙ্গলবার রাতে সাইফুল ইসলাম জাজিরা উপজেলা সদর থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। রাত পৌনে ১০টার দিকে বাড়ির কাছাকাছি পৌঁছলে দুর্বৃত্তরা তার ওপর হামলা চালায়। কুপিয়ে আহত করে রাস্তায় ফেলে যায়। খবর পেয়ে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। রাত ১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা গেছেন।

তার স্ত্রী সাথী আক্তার বলেন, আমরা আওয়ামী লীগ করি। তারপরও কেন আমার স্বামীকে আওয়ামী লীগের সমর্থকরা মেরে ফেলল। শুধু দলের এক নেতার সমর্থক বলে মেরে ফেলতে হবে? আমার সন্তানদের এখন কি হবে। ওদের নিয়ে আমি কার কাছে আশ্রয় নেব।

জাজিরা উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি সেলিম মাদবর ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

জাজিরা পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলের ইলিয়াছ মাদবর বলেন, কারা সাইফুলকে হত্যা করেছে তা পুলিশ জানে। সাইফুলের পরিবার পুলিশকে তাদের নাম বলেছে। আমি এ বিষয়ে মন্তব্য করতে চাই না।

জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ইলিয়াছ মাদবর ও সেলিম মাদবর গ্রুপের মধ্য আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ ছিল। নিহত সাইফুল ইলিয়াছের সমর্থক ছিলেন। কিছু দিন আগের একটি মামলা নিয়ে সেলিমের লোকজন তার ওপর ক্ষুব্দ ছিল। এর জেরে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারনা করছি। তার পরও বিষয়টি অনেক গভিরে তদন্ত করা হবে। ওই ঘটনায় জরিত থাকার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনও মামলা করা হয়নি।

এই বিভাগের আরও খবর