,

চুয়াডাঙ্গায় ধর্ষণের শিকার তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামে তৃতীয় শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বাড়ির অদূরে একটি মাঠের শ্যালোমেশিন ঘরে তাকে ধর্ষণ করা হয়। গুরুতর আহত ওই শিশুকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছে ধর্ষক আহম্মেদ আলী।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, আলমডাঙ্গা উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের দরিদ্র দিনমজুরের ওই শিশু কন্যা বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে বাড়ির পাশের একটি মাঠে খেলতেছিল। এ সময় একই গ্রামের মারফত আলীর ছেলে আহম্মদ আলী মুরগী ধরে দেবার নাম করে শিশুটিকে নিয়ে যায় মাঠের একটি শ্যালোমেশিনের ঘরে। সেখানে তাকে ধর্ষণ করা হয়। ধর্ষণের কথা কাউকে না বলার জন্যও শিশুকে শাসিয়ে দেয় ধর্ষক আহম্মেদ আলী।

পরে ওই শিশু বাড়িতে ফিরে অসুস্থ্য হয়ে পড়লে ধর্ষণের বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। দ্রুত শিশুটিকে উদ্ধার করে তার পরিবারের সদস্যরা রাত ১১টার দিকে ভর্তি করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. আবু এহসান মো. ওয়াহেদ রাজু জানান, রাত ১১টার কিছুটা পর আমরা শিশুটিকে ভর্তি করে নেই। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) হাসপাতালের গাইনী কনসালটেন্ট তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন।

এদিকে, পাইকপাড়া গ্রামে তৃতীয় শ্রেণীর ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের খবর গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে গ্রামবাসী। তারা ঘটনার পরই ধর্ষক আহম্মেদ আলীকে আটকের চেষ্টা করলে সে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যায়।

আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ আসাদুজ্জামান মুন্সি জানান, শিশু ধর্ষণের ঘটনাটি আমরা শুনেছি। ধর্ষককে গ্রেফতারে আমরা ইতোমধ্যেই অভিযান শুরু করেছি। খুব শীঘ্রই ধর্ষক আইনের আওতায় আসবে।

এই বিভাগের আরও খবর