,

চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে

জেলা প্রতিনিধি, ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহের গৌরীপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন নিপীড়ন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় বিচার চেয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)-এর কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান মারুফ অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অভিযোগে বলা হয়েছে, মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম শহরের শহীদ মঞ্জু সড়ক এলাকায় নিজ বাসায় ছাত্র-ছাত্রীদের প্রাইভেট পড়ান। গত রোববার (৩১ অক্টোবর) ভুক্তভোগী ছাত্রী রফিকুলের বাসায় প্রাইভেট পড়তে যায়। এ সময় রফিকুল ওই ছাত্রীর শরীর ঘেঁষে বসে তাকে যৌন হয়রানি করেন। পরে ওই ছাত্রী বাসায় ফিরে পরিবারকে ঘটনা জানালে তার বাবা ওইদিনই বিচার চেয়ে ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

এর আগে ২০১৫ সালের মার্চে মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠে। ওই বছরই বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির আরও এক ছাত্রীর সঙ্গে একই শিক্ষক অশালীন আচরণ করায় ওই ছাত্রীর বাবা বিদ্যালয় থেকে ছাড়পত্র নিয়ে মেয়েকে অন্যত্র ভর্তি করান। এছাড়া ২০১৮ সালের এপ্রিলে প্রশপত্র ফাঁসের অভিযোগে রফিকুলের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে একাধিক সংবাদ প্রকাশিত হয়। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় তিনি পার পেয়ে যান।

উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রাবেয়া ইসলাম ডলি বলেন, ‘২০১৫ সালে শিক্ষক রফিকুল ইসলাম এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করায় তার বিরুদ্ধে ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছিলাম। ওই সময় যদি কর্তৃপক্ষ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতো, আজ এই ধরনের ঘটনা পুনরাবৃত্তি হতো না।’

গৌরীপুর পৌর মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাজহারুল আনোয়ার ফেরদৌস বলেন, ‘স্কুলছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের ঘটনা শুনেছি। এই ধরনের অভিযোগ শিক্ষক রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে আগেও উঠেছিল। এসব ঘটনায় বিদ্যালয়ের সুনাম নষ্ট হচ্ছে। পাশাপাশি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরাও বিব্রতবোধ করছে।’

এ বিষয়ে বক্তব্য জানার জন্য মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের মোবাইলফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

ইউএনও হাসান মারুফ বলেন, ‘স্কুলছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনা তদন্ত করার জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

উপজেলা শিক্ষা অফিসার মনিকা পারভীন বলেন, ‘অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এই বিভাগের আরও খবর