বিডিনিউজ ১০ ডেস্ক: পুরান ঢাকার ভয়াল অগ্নিকাণ্ডে সোনাইমুড়ী উপজেলারই ১০ জন লাশ হয়েছেন। ব্যবসায়ী ও চাকরিজীবীসহ ওই ১০ জন নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার। এছাড়া অপর একটি উপজেলার একজন মারা গেছেন।
ইতিমধ্যেই ওই ১১ জনের মধ্যে ১০ জনের লাশ তাদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
এর আগে ঢাকা থেকে পরিবহনে গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে ৩ ঘণ্টার মধ্যে বিভিন্ন গ্রামে নিহতদের জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন হয়।
নিহতরা হলেন- উপজেলার নাটেশ্বর ইউপির পশ্চিম নাটেশ্বর গ্রামের মৃত বুলু মিয়ার ছেলে আলী হোসেন (৬৫), বারগাঁও ইউপির দৌলতপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে মো.আনোয়ার হোসেন (৪০), ঘোষকামতা গ্রামের সাহাব উল্লার ছেলে সহোদর মাসুদ রানা (৩৩) ও রাজু (২৮), একই ইউপির মির্জানগর গ্রামের মৃত মোমিন উল্লার ছেলে শাহাদাত হোসেন হিরা (৩২), মৃত গাউছ আলমের ছেলে হেলাল উদ্দিন (৩২), নাটেশ্বর গ্রামের সুরুজ মিয়ার ছেলে ছিদ্দিক উল্লাহ (৩২), ওয়াছেকপুর গ্রামের মৃত আলী আজ্জমের আবদুর রহিম দুলাল, দৌলতপুর গ্রামের হাজী বাড়ির মৃত সিরাজ মিয়ার ছেলে আনোয়ার হোসেন (৪০) এবং বারগাঁও ইউপির কৃষ্ণপুর গ্রামের আবদুর রহিমের স্ত্রী আয়েশা খাতুন প্রকাশ নয়ন (৪০)।
এ ছাড়া মির্জা নগর গ্রামের আবদুর রহিম ডিএসবির ছেলে ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু (৩৫) মারা গেলেও তার লাশ চিহ্নিত করা যায়নি।
অপরদিকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়নের জসিম উদ্দিন (৩৫) নামে একজন মারা গেছেন।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, নিহত আলী হোসেনের ৫ মেয়ের মধ্যে ৩ মেয়েই অবিবাহিত। অগ্নিকাণ্ডে নিহত আলী হোসেনের লাশ বাড়িতে আনলে তার মেয়ে ও স্ত্রীসহ স্বজনরা আহাজারি করছেন। নিহতদের সংবাদ পেয়ে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর বিকাল থেকে শত শত নারী-পুরুষরা ওই নিহতদের বাড়িতে এসে সমবেদনা জানান।
এদিকে সোনাইমুড়ী থানার ওসি আবদুস সামাদ জানান, ঢাকা চকবাজার অগ্নিকাণ্ডে সোনাইমুড়ি উপজেলার ২টি ইউনিয়নের ৯ জন ব্যবসায়ী নিহতের তথ্য পাওয়া গেছে।
উল্লেখ্য, রাজধানীর চকবাজার এলাকার নন্দকুমার দত্ত সড়কের চুড়িহাট্টা শাহী মসজিদের পেছনের একটি ভবনে বুধবার রাত ১০টা ১০ মিনিটে আগুন লাগে। এ ঘটনায় অন্তত ৬৭ জন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। এখনও অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।