জেলা প্রতিনিধি, ফরিদপুর: ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ালেন বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহাজালাল মৎস্য এন্ড ডেইরি ফার্মের স্বত্ত্বাধিকারী ও লেবাজ সোয়েটার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান তাজমিনউর রহমান।
তুহিন উপজেলার সদর ইউনিয়নের বিদ্যাধর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক প্রায়ত আলহাজ্ব আলী আহমেদ মৃধার ছেলে ছেলে।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিদ্যাধর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে শাহাদাত হোসেন খোকন মিয়ার সভাপতিত্বে আইয়ুর মিয়ার পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন বুলবুল।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আলফাডাঙ্গা থানার ওসি (তদন্ত) শামিনুল হক, ইউপি সদস্য সৈয়দ শরিফুল ইসলাম, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক খবিবর রহমান বকু, প্রেসক্লাবের সভাপতি সেকেন্দার আলম ও যুবলীগ নেতা নাহিদ রাজু প্রমুখ।
গত ৫ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার ছয়টি গ্রামে মাত্র ৩০ সেকেন্ডের ভয়াবহ ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে যায়। শত শত বসতঘর ভেঙে যায়, হাজার গাছ উপড়ে পড়ে। ক্ষতিগ্রস্ত অনেকেই খোলা আকাশের নিচে ও আশপাশে বাড়িতে স্থান নিয়েছে।
তাজমিনুর রহমান তুহিনের নিজ এলাকা বিদ্যাধর ও ব্রাহ্মণ জাটিগ্রাম এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ঝড়ের একদিন পরেই তাজমিনউর রমহান তুহিনের পরিবারের পক্ষ থেকে তার বড় ভাই অবসরপ্রাপ্ত সহকারি অধ্যাপক মিজানুর রহমান ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পাশে দাঁড়িয়ে নগদ অর্থ প্রদান করেন।
দ্বিতীয় দফায় শুক্রবার বিকেলে ২৫ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়েছে।
সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন বুলবুল বলেন, ‘আমাদের ইউনিয়নে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা অনেক জাতীয় নেতাকর্মীরা পরিদর্শন করেছেন। তেমন কোনো সহযোগীতার তাদের কাছ থেকে পাওয়া যাইনি। আমাদের বিদ্যাধর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক প্রায়ত আলহাজ্ব আলী আহমেদ মৃধা স্যারের ছেলে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সমাজসেবক তাজমিনউর রহমান তুহিন এসব ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন। আশা করি তিনি আগামীতেও অসহায় মানুষের পাশে দাড়াবেন।
আলফাডাঙ্গা আদর্শ ডিগ্রি কলেজের দাতা সদস্য এবং আলফাডাঙ্গা প্রেসক্লাবের আইন ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক তাজমিনউর রহমান তুহিন বলেন, ৫ অক্টোবর ঘূর্ণিঝড়ে আমাদের গ্রাম ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এটা যখনই জানতে পারলাম তখন থেকে আমার মনটা পড়েছিল গ্রামে। শুধু ভেবেছি বসতবাড়ি হারিয়ে আমাদের এলাকার মানুষ কত কষ্টে রয়েছে। একদিন পরেই আমাদের পরিবার থেকে আমার বড় ভাই অবসরপ্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপক মিজানুর রহমান ক্ষতিগ্রস্তদের নগদ অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। ১৩ অক্টোবর শুক্রবার বিকেলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ২৫ কেজি করে চাল বিতরণ করেছি। আশা রাখি আগামীতেও আমাদের সাহায্য সহযোগীতা অব্যাহত থাকবে। আমাদের জন্য সবাই দোয়া করবেন।
-মো.ইকবাল হোসেন