,

গো-খাদ্য সংকট; ভরসা কচুরীপানা

জেলা প্রতিনিধি, সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জের বিভিন্ন হাট বাজারে দ্রুতগতিতে বাড়ছে সব ধরনের গো-খাদ্যের দাম। পাশাপাশি বাড়ছে খড়ের দামও। অনেক কৃষককে কচুড়িপানা সংগ্রহ করতেও দেখা গেছে। ফলে খামারি মালিক ও সাধারন কৃষক পড়েছে চরম বিপাকে।

গত চার-পাঁচ দিন ধরে উপজেলার নিমগাছি, ধানগড়া, চান্দাইকোনা, ব্রহ্মগাছা, ঘুড়কা, ভুইয়াগাতি, নলকা, কালিঞ্জা, হাটপাঙ্গাসী, গ্রামপাঙ্গাসী, এরান্দহ, কৃষ্ণদিয়াসহ এলাকার বিভিন্ন হাট বাজারে দফায় দফায় গো-খাদ্যের দাম বেড়ে ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে।
বাধ্য হয়ে অনেক কৃষক বিভিন্ন জলাশয়ের কচুড়িপানা সংগ্রহ করে তাদের পালিত গরুকে খাওয়াচ্ছেন।
এ বিষয়ে একাধিক কৃষকের সাথে কথা হলে তারা জানান, বর্তমানে খড় ৭০০ থেকে ৮০০ শত টাকা মন, নেপিয়ার জাতের ঘাস ১ আটি ১৫ টাকা, গমের ভুষি ৪৫ থেকে ৫০ টাকা ,ভুট্টার গুড়া ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, ধানের গুড়া ১৮ থেকে ২০ টাকা, চালের খুদ ৩২ থেকে ৪০ টাকা , খৈল ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে খুচরা বাজারে বিক্রি হতে দেখা গেছে। উপজেলার গ্রামপাঙ্গাসি ও হাটপাঙ্গাসী বাজারের বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, আমরা মহাজনের কাছ থেকে যে দামে মাল ক্রয় করে থাকি সেই অনুযায়ী বিক্রি করি।
এদিকে উপজেলার গ্রামপাঙ্গাসী চাঁনপাড়া গ্রামের গরু ব্যবসায়ী মো. নুরুল ইসলাম বলেন, দিন দিন গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধির ফলে এবং সাধ্যমতে খড় না পেয়ে বাধ্য হয়ে খোল, ভূষি, গুড়া, খুদ বাদ দিয়ে শুধু মাত্র বিভিন্ন জলাশয় থেকে কচুড়িপানা সংগ্রহ করে গুরুকে খাওয়ানো হচ্ছে। ফলে দিন দিন শুকিয়ে যাচ্ছে গুরুগুলো। কমে যাচ্ছে গরুর দুধও। ফলে আমার মত অনেক খামারি ও সাধারণ কৃষক আার্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
এই ব্যবসায়ী আরও বলেন, আমি দীর্ঘ ৭ থেকে ৮ বছর ধরে গরুর ব্যবসা করলেও আজও পায়নি সরকারি ভাবে কোন আর্থিক প্রণোদনাও। এমতাবস্থায় সরকারি প্রণোদনা আশা করেন গরু ব্যবসায়ী নুরুল ইসলামের মত অনেক ব্যববসায়ী ও সাধারণ গরুর মালিকগণ।

এই বিভাগের আরও খবর