,

গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ; গ্রহণযোগ্য একটি কমিটি প্রত্যাশা তৃণমূলের

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি: গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের নতুন নেতৃত্বে কারা আসছেন এনিয়ে চলছে নানান জল্পনা-কল্পনা। নতুন বছরে জেলা ছাত্রলীগের নতুন নেতৃত্বে চমক থাকবে এমনটা প্রত্যাশা করছেন সাধারন নেতা-কর্মীরা।

গত ১৩ নভেম্বর মেয়াদোত্তীর্ণ ছাত্রলীগের জেলা কমিটি ভেঙ্গে দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।এরপর থেকেই নতুন কমিটিতে পদ প্রত্যাশীদের শুরু হয় দৌড়ঝাঁপ।

ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, ইতিমধ্যে নতুন কমিটিতে পদ প্রত্যাশী অন্তত অর্ধশতাধিক নেতা তাদের জীবনবৃত্তান্ত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দপ্তর সেলে জমা দিয়েছেন।

ছাত্রলীগের সাধারন নেতাকমীরা জানান, পদ প্রত্যাশী অনেকের বয়স ও ছাত্রত্ব এরমধ্যে শেষ হয়ে গেছে। কেউ কেউ আবার জড়িয়ে পড়েছেন ঠিকাদারী ব্যবসায়।এছাড়া কারো কারো বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে সামাজিক মাধ্যমে নারী কেলেংকারীর ঘটনা ভাইরাল হয়ে। যা জেলা ব্যাপি

আলোচনার জম্ম দেয়। এবার জেলা ছাত্রলীগের নেতৃত্বে চমক থাকবে এবং ক্লিন ইমেজের মেধাবী ছাত্রনেতাদের ঠাঁই হবে বলে তাদের প্রত্যাশা।

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদ প্রত্যাশী ছাত্রনেতা মোঃ রাজু খান বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত।গত জেলা কমিটিতে প্রচার সম্পাদক হিসেবে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছি। গোপালগঞ্জ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার জম্মস্থান। বয়স শেষ হয়ে গেছে, ছাত্রত্ব নেই, ইমেজ সংকটে আছেন এমন সব বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে ক্লীন ইমেজের ছাত্র নেতাদের নেতৃত্বের সুযোগ দেওয়া হলে সাংগঠনিক ভাবে সুশৃঙ্খল, গতিশীল ও সবার কাছে গ্রহনযোগ্য হবে।

সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নতুন কমিটির সভাপতি পদ প্রত্যাশী মোঃ সামিউল হক তনু বলেন, বিতর্কিত ও জনপ্রিয়তা নেই এমন কোন ছাত্রনেতা জেলা ছাত্রলীগের নেতৃত্বে আসুক ছাত্রলীগের তৃণমুলের নেতৃবৃন্দ তা চায় না। ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রে যেভাবে বলা আছে এবং ছাত্রসমাজের কাছে গ্রহনযোগ্য একটি স্বচ্ছ কমিটি তাদের প্রত্যাশা।

এই বিভাগের আরও খবর