গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি: গোপালগঞ্জে অজ্ঞান করে প্রথম শিশুর জম্মগত ছানির সফল অপারেশন করা হয়েছে।
বুধবার (৩১ অক্টোবর) গোপালগঞ্জ শেখ ফজিলাতুন্নেছা চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে এ অপারেশন সম্পন্ন হয়।
গোপালগঞ্জ শেখ ফজিলাতুন্নেছা চক্ষু হাসপাতালের চক্ষু ক্যাম্প সমন্বয়কারী দীপক সরকার জানান, হাসপাতালের পরিচালক প্রফের ডা. সাইফুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে জুনিয়র কানসালট্যান্ট ডা. মোয়াজ্জেম হোসেন, এ্যানেথিশিয়া ডা. আসাদুজ্জামান শিশু রিয়াকে (১১) অজ্ঞান করে চোখের ছানি অপারেশন করেন।
হাসপাতালে শিশুকে অজ্ঞান করে জম্মগত ছানি অপারেশন সফল হয়েছে। শিশুটি অন্ধত্বের দুর্বিসহ যন্ত্রনা থেকে মুক্তি পেয়েছে। ফিরে পেয়েছে চোখের আলো।
রিয়া বাড়ৈ বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার কুড়লিয়া গ্রামের মৃত ফিলিপ বাড়ৈর মেয়ে। সে কুড়লিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্রী।
রিয়ার মা সবিতা বাড়ৈ বলেন, ‘জম্মে থেকইে রিয়ার ডান চোখে ছানি ছিলো। ছানির জন্য সে ডান চোখে কম দেখতো। এ কারণে তার পড়াশেনা, খেলাধূলা ও স্বাভাবিক কাজ কর্ম করতে সমস্যা হতো। গোপাগঞ্জ চক্ষু হাসপতালে রিয়াকে চিকিসার জন্য নিয়ে আসার পর পরিচালক নিজে তার চিকিৎসা ও অপারেশন করেন। প্রধানমন্ত্রীর মায়ের নামের হাসপতালে এসে আমার মেয়ে বিনামূল্যে চোখের আলো ফিরে পেয়েছে। এ অপারেশন ঢাকা থেকে করতে হলে অন্তত ১ লাখ টাকা খরচ হতো। মায়ের নামে হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার করে সাধারণ মানুষের সেবা করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর সাফল্য কামনায় ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করছি।’
হাসপাতালের পরিচালক প্রফের ডা. সাইফুদ্দিন আহমেদ জানান, ‘সুপার স্পেশালাইজেশন চোখের হাসপাতাল হিসেবে শেখ ফজিলাতুন্নেছা চক্ষু হাসপাতালকে গড়ে তুলতে ইতিমধ্যে রেটিনা বিভাগ, গ্লুকোমা বিভাগ, অকলু প্লাস্টিক সার্জারী সহ বিভিন্ন বিভাগ চালু করা হয়েছে।’
এখান থেকে প্রতিদিন দেশের ৩০ জেলার ১ হাজার ৫শ’ রোগী বিনামূল্যে চক্ষু রোগের চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন। করা হচ্ছে জটিল জটিল অপারেশন। অজ্ঞান করে হাসপাতালে বিনামূল্যে আজ প্রথম শিশু রিয়ার জম্মগত ছানির সফল অপারেশন করা হয়েছে।
ছানিজনিত্ব অন্ধত্বের কারণে শিশুটির লেখাপড়া সহ স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছিলো। এ অপারেশনের পরে শিশুটি অন্ধত্ব দূর হয়েছে। শিশুটি এখন পাড়াশোনাসহ স্বাভাবিক কাজ-কর্ম করতে পারবে। এ হাসপাতাল চক্ষু চিকিৎসা ও অপারেশনে দেশের সেরা হাসপাতালে পরিণত হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।