জেলা প্রতিনিধি, গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী দিদার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার সদর উপজেলার উরফি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনির গাজী ও নিজড়া ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি ফায়েকউজ্জামান মিনাকে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ ।
শনিবার দুপুরে গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মীর মো. সাজেদুর রহমান গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারগারে পাঠানো হয়েছে।
ওসি বলেন, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী দিদার হত্যা মামলার সন্দেহভাজন দুই আসামি অবস্থান করছে- এমন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় জেলা শহরের কাঁচা বাজার এলাকা থেকে সদর উপজেলার উরফি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনির গাজী ও নিজড়া ইউনিয়নের নিজড়া গ্রামের বাড়ি থেকে নিজড়া ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি ফায়েকউজ্জামান মিনাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস.এম জিলানী স্ত্রী, সন্তান ও দলীয় নেতা–কর্মীদের গাড়িবহর নিয়ে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাটগাতী গ্রামের নিজ বাড়িতে যাচ্ছিলেন। গাড়িবহর গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ঘোনাপাড়ায় পৌঁছালে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। এসময় ১০টি গাড়ি ভাঙচুর ও অন্তত ৫০ নেতাকর্মী আহত হন। এছাড়া গাড়িবহরে থাকা স্বেচ্ছাসেবক দলনেতা শওকত আলী দিদারকে পিটিয়ে হত্যা করে মরদেহ মহাসড়কের পাশে ফেলে রাখা হয়।
এ ঘটনায় গত ১৭ সেপ্টেম্বর নিহত শওকত আলী দিদারের স্ত্রী রাবেয়া রহমান বাদী হয়ে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও গোপালগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম (সেলিম), সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নাজমা আক্তারসহ ১১৭ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা দেড় হাজার জনকে আসামি করে গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।