বৃহস্পতিবার বিকালের এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কর্মচারী ইউনিয়নের নেতারা অবরুদ্ধ করে রাখে কর্মকর্তাদের। সন্ধ্যায় পুলিশ গিয়ে কর্মকর্তাদের উদ্ধার করে।
ভাংচুরের বিষয়ে কর্মচারী ইউনিয়ন ও কর্মকর্তারা পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দিয়েছে। ঘটনা তদন্তে এ্যাসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানির ব্যবস্থাপক (অ্যাডমিন) শাহাবুদ্দিনকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের প্রতিবেদন দিতে ১০ দিন সময় দেওয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ্যাসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানির এক কর্মকর্তা বলেন, “এই প্লান্টে কর্মচারী ইউনিয়নের কোনো কমিটি নেই। কাজী ইউসুফ নিজেকে স্বঘোষিত সভাপতি ও আজিজ চৌধুরী সাধারণ সম্পাদক দাবি করে প্লান্টের মূল ভবনের সেন্ট্রাল অয়্যার রুম দখল করে কর্মচারী ইউনিয়নের কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল।
“এ প্লান্টটিতে প্রকল্পের কাজ এখনও সমাপ্ত হয়নি। প্রকল্পের কাজ কোম্পানির কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। তাই এখানে সিবিএ বা ইউনিয়নের কার্যক্রমের কোনো বৈধতা নেই।”
দুদক এই কারখানা পরিদর্শন করে মূল ভবন থেকে সিবিএ কার্যালয় সরিয়ে নিতে বলেছিল জানিয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, “তাদেরকে (সিবিএ) প্লান্টের মূল ভবনের রুম ছেড়ে দিতে দু’ মাস আগেই জানানো হয়। কিন্তু তারা রুম ছাড়েনি। তাই কোম্পানির এমডির সিদ্ধান্ত মোতাবেক আজ ওই রুমে প্লান্টের মেশিনসহ মালামাল ঢোকানো হয়।
“এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কর্মচারী ইউনিয়নের লোকজন বিকেলে ওই রুমের পেছনের দিনের গ্লাস বিহীন জানালা দিয়ে কোনো কিছুর সাহায্যে ধাক্কা দিয়ে দেয়ালে টানানো বঙ্গবন্ধুর ছবি ফ্লোরে ফেলে ভাংচুর করে। পরে তারা উল্টো অফিসারদের অভিযুক্ত করে অবরুদ্ধ করে রাখে।”
অন্যদিকে কাজী ইউসুফ এ ঘটনার জন্য কর্মকর্তাদের দায়ী করে সাংবাদিকদের বলেন, “তারা আমাদের ফাঁসাতে ওই রুমে বঙ্গবন্ধুর ছবি ভেঙেছে। ঘটনার সময় ওই রুমের সামনে অফিসাদের পাহারাদার কর্মরত ছিলেন। রুমে তালা দেওয়ার প্রতিবাদে আমরা গেট বন্ধ করে প্রতিবাদ করেছি। পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে আমরা সেখান থেকে চলে আসি।”
গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, “খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ দিতে বলেছি। অভিযোগ পেলেই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক অধ্যাপক এহসানুল কবির জগলুল বলেন, “বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুরের ঘটনা তদন্তে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে যারা দোষী সাব্যস্ত হবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
তবে জগলুলের ধারণা, কর্মকর্তারা এ ঘটনা ঘটায়নি।
“ঘটনার পর রাত ৮টার দিকে কেন্দ্রীয় সিবিএ নেতৃবৃন্দ আমার কাছে এসে ক্ষমা চেয়েছে “ বলেন তিনি।