,

গৃহকর্মীদের ওপর যৌন হয়রানির কতটা প্রতিকার হয়?

বিবিসি বাংলা: যেখানে বেশ কয়েকজন পরিচিত ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর সংশ্লিষ্ট কয়েকটি প্রতিষ্ঠান তদন্ত করার কথাও জানিয়েছে।কিন্তু মি-টু আন্দোলনটি মূলত হচ্ছে পরিচিত, বিখ্যাত বা নামীদামী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ওঠা যৌন নির্যাতন বা যৌন হয়রানির ঘটনাগুলোকে ঘিরে।

অথচ বাংলাদেশে তৃণমূল বা দরিদ্র যেসব মেয়েরা কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি বা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে বলে যেসব অভিযোগের কথা শোনা যায় নানা সময়ে, তাদের বিষয় কতটা মনোযোগ পাচ্ছে?বিশেষ করে গৃহকর্মী হিসাবে যেসব মেয়েরা কাজ করে, তাদের ক্ষেত্রে পরিস্থিতিটা কেমন?

গৃহ শ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠা নেটওয়ার্কের মহাসচিব নাজমা ইয়াসমিন বলছেন বাংলাদেশে দু ধরনের গৃহ শ্রমিক কাজ করে যেমন কেউ বাসায় চব্বিশ ঘণ্টা কাজ করে আর কেউ খণ্ডকালীন কাজ করে।”নির্যাতনের ঘটনা বেশি ঘটে যারা বাসায় কাজ করে। এদের বয়স ১৪ থেকে ১৮/২০ বছরের মধ্যে। শারীরিক নির্যাতন বেশি হয়”।তিনি বলেন যৌন নির্যাতনের অভিযোগ কিছু আসে কিন্তু এটা প্রমাণ করা যায়না।”কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কেউ প্রকাশ করতে চায়না। আর কেউ প্রকাশ করলেও প্রমাণ করা কষ্ট হয়”।

গৃহ শ্রমিকদের যৌন নির্যাতনের অভিযোগ কেমন আসে জানতে চাইলে তিনি বলেন গত তিনমাসে সংবাদপত্রে যত খবর এসেছে তাতে দেখা যায় প্রতি মাসে গড়ে ৬/৮ জন করে গৃহ শ্রমিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে।
এসব মামলা আলোর মুখ দেখেনা বলেই মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন শ্রমিক সংগঠনগুলোও এসব ঘটনায় খুব বেশি অগ্রসর হতে পারেনা কারণ ভিকটিম পরিবারগুলো সমঝোতায় চলে যায়।”যারা ঘটনা ঘটান তারা টাকা দিয়েই ঘটনার মীমাংসা করতে চান। তারা যেহেতু প্রভাবশালী থাকেন আর গৃহ শ্রমিক দরিদ্র পরিবারের সেজন্য তারাও আর অগ্রসর হতে চায়না”।

নাজমা ইয়াসমিন বলেন শহর এলাকাতেই গৃহ শ্রমিক বেশি কাজ করে কিন্তু সব ঘটনার খবর পাওয়া যায়না। আবার যেসব ঘটনা পত্রিকায় আসে আবার সেগুলো নিয়েও অনেক কিছু করার থাকেনা। অর্থ ও ক্ষমতা বা নিয়ন্ত্রণ- দুভাবেই তারা (প্রভাবশালীরা) বিষয়গুলো ম্যানেজ করে ফেলে।

এই বিভাগের আরও খবর