,

কোটালীপাড়ায় টিসিবির পণ্য না পেয়ে খালি হাতে ফিরছেন

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি: গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় টিসিবির পণ্য ক্রয়ে ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। করোনা ভাইরাসের ভয়কে উপেক্ষা করে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে কর্মহীন ক্রেতারা একটু কম দামের আশায় ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য ক্রয় করছেন।

তারা জানান, নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে টিসিবির এ পণ্য ক্রয় করা হচ্ছে। তবে ক্রেতানুপাতে পণ্যের পরিমাণ কম থাকায় অনেক ক্রেতাকে পণ্য না পেয়ে ফিরে যেতে দেখা গেছে। এ জন্য এ উপজেলায় পণ্যের বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

জানা গেছে, কোটালীপাড়া উপজেলায় মেসার্স বাদশা এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স মায়ের দোয়া এন্টারপ্রাইজ ও মেসার্স নাছরিন ট্রেডার্স নামে ৩টি প্রতিষ্ঠানকে টিসিবির ডিলার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে শুধু মেসার্স বাদশা এন্টারপ্রাইজের কর্ণধর মোস্তফা কামাল টিসিবির পণ্য বিক্রি করছেন।

তবে চাহিদানুপাতে পণ্য পাচ্ছেন না বলে দাবি করেছেন তিনি।

তিনি জানান, সপ্তাহে ৫ দিন টিসিবির পণ্য বিক্রয়ের নির্দেশনা রয়েছে সরকার থেকে। এরমধ্যে আমাকে প্রতিদিন ১ হাজার কেজি চিনি, ৩০০ কেজি ডাল, ২ হাজার লিটার তেল দেয়া হয়েছে। কিন্তু এখানে ৩ গুণ চাহিদা রয়েছে। প্রতিদিনই এ পণ্য কিনতে এসে অনেক ক্রেতাই ফিরে যাচ্ছেন।

এছাড়াও সামনে রমজান মাসে খেজুর, ছোলা, চাল, আটা দেয়ার কথা রয়েছে। আমি চাইবো এসব পণ্যেরও যেন পরিমাণ বাড়ানো হয়।

বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) উপজেলার ঘাঘর বাজারে টিসিবির পণ্য বিক্রি করতে দেখা গেছে। মাত্র ৪ ঘণ্টার মধ্যে পণ্য বিক্রি শেষ হয়ে যায় বলে ডিলারের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

এদিকে এ পণ্য কিনতে এসে উপজেলার ঘাঘরকান্দা গ্রামের ভ্যানচালক জাকির মোল্লা ও ইলিয়াস হোসেনসহ আরও অনেক ক্রেতা পণ্য না পেয়ে ফিরে গেছেন খালি হাতে।

তারা জানান, প্রায় ঘণ্টাখানেক লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও পণ্য পেলাম না। আমরা এখানে পণ্যের চাহিদা বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম মাহফুজুর রহমান বলেন, এ উপজেলায় পণ্যের চাহিদা বাড়ানোর জন্য আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব। আশা করি শিগগিরই এ উপজেলায় টিসিবির পণ্যের পরিমাণ বাড়ানো হবে।

এই বিভাগের আরও খবর