কৃষি খবর ডেস্ক: ঝালকাঠিতে বোরো ধানে ক্ষতিকারক পোকা দমনে কৃষকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে জৈব বালাই দমন পদ্ধতি বা পার্চিং পদ্ধতি। দিন দিন এ জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে চাষীরা এ পদ্ধতির দিকে বেশি ঝুঁকছেন কৃষকরা। একদিকে যেমন বিষমুক্ত পদ্ধতিতে পোকা দমন হচ্ছে অন্যদিকে, রক্ষা পাচ্ছে পরিবেশ। পাশাপাশি লাভবান হচ্ছেন কৃষক।
ঝালকাঠি জেলার ৪ উপজেলায় পোকা দমনে কৃষক যখন কীটনাশক ব্যবহারে অতিমাত্রায় ঝুঁকে পড়েছে তখন পরিবেশ রক্ষা ও কৃষকদের কীটনাশক ব্যবহার থেকে বিরত রাখতে কৃষি বিভাগের পরামর্শে বোরো খেতে চলছে ক্ষতিকারক পোকা দমনে জৈব বালাই দমন পদ্ধতি বা পার্চিং পদ্ধতি।
এ পদ্ধতিতে কৃষকরাও বেশ আগ্রহী হয়ে উঠেছে। খেতে গাছের ডাল পুঁতে পাখি বসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এতে পাখি বসে বোরো ধানের ক্ষতিকারক পোকা ও পোকার ডিম খেয়ে ফেলায় কৃষকদের বাড়তি কোনো কীটনাশক ব্যবহার করতে হচ্ছে না।
ফলে বোরো উৎপাদনে খরচ কম হচ্ছে লাভবান হচ্ছে কৃষক। অন্যদিকে রক্ষা পাচ্ছে পরিবেশ। খেতে খেতে শোভা পাচ্ছে সহজলভ্য গাছের ডাল।
ঝালকাঠির উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মনিকা বিশ্বাস বলেন, ‘পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় আমরা চাষিদেরকে নিয়মিত পার্চিং ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছি। এতে যেমন আর্থিক লাভবান হওয়া যায় তেমনি পরিশ্রমও কম হবে।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘কৃষিমন্ত্রী মহোদয় ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ডিজির নির্দেশনায় আমরা জেলায় শতভাগ পার্চিংয়ের জন্য কাজ করে যাচ্ছি।
পার্চিং হলো একটি জৈবিক বালাই ব্যবস্থা, যাতে ডালপালায় বসে পাখি বিভিন্ন পোকা খেয়ে ফেলে। ফলে বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করতে হয় না।’
সদর উপজেলার বাসন্ডা ইউনিয়নের কৃষ্ণকাঠি গ্রামের প্রন্তিক চাষি আবুল হাওলাদার বলেন, ‘আগে আমরা ধানখেতে কীটনাশক ব্যবহার করতাম, এখন কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে খেতে গাছের ডাল বসিয়ে দেই, সেখানে পাখি বসে পোকা খেয়ে ফেলে, তাই কীটনাশক লাগে না।’ এতে আমাদের খরচও অনেক কম হয়।