,

কাশিয়ানীতে ‘বিনাধান-১৬’ চাষে লাভবান কৃষক

জেলা প্রতিনিধি, গোপালগঞ্জ: প্রতি হেক্টরে এ জাতের ধান ৬ টন ফলেছে। প্রচলিত আমনের তুলনায় এ ধান দেড় মাস আগে পাকে

বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত স্বল্প জীবনকাল সম্পন্ন উচ্চফলনশীল আগাম আমনের জাত ‘বিনাধান-১৬’ চাষ করে আয় বেড়েছে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীর কৃষকদের। বছরে তিন থেকে চারটি ফসল আবাদের সুযোগ থাকায় লাভজনক এ জাতের ধান চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন কৃষকরা।

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে বাংলাদেশ পরমানু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল ও স্বল্প জীবনকাল সম্পন্ন বিনাধান-১৬ এর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বুধবার (১৬ নভেম্বর) সকালে কাশিয়ানী উপজেলার ফুকরা গ্রামের কৃষক সুমনের মাঠে উৎপাদিত বিনাধান-১৬ কেটে এ মাঠ দিবস করা হয়।

বিনা গোপালগঞ্জ উপকেন্দ্র আয়োজিত এই মাঠ দিবসে প্রধান অতিথি ছিলেন বিনার পরিচালক ড. মো. আব্দুল মালেক। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিনার মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শামছুন্নাহার বেগম।

বিনা গোপালগঞ্জ উপকেন্দ্রের ইনচার্জ ড. মো. কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাঠ দিবসে গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণের ডিডি ড. অরবিন্দ কুমার রায়, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সঞ্জয় কুমার কুন্ডু, বিনার বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম আকন্দ, সৌরভ অধিকারীসহ আরো অনেকে বক্তব্য রাখেন।

বিনা গোপালগঞ্জ উপকেন্দ্রের ইনচার্জ ড. মো. কামরুজ্জামান বলেন, সুমনের ক্ষেতে উৎপাদিত বিনাধান-১৬ কেটে পরিমাপ করে দেখা গেছে প্রতি হেক্টরে এই ধান ৬ টন ফলন দিয়েছে।

উচ্চ ফলনশীল ও ৮৫ থেকে ১০০ দিন জীবনকাল সম্পন্ন এ জাতের ধান চাষ করে কৃষক লাভবান হচ্ছেন। কারণ এ ধান করার পর কৃষক একই জমিতে বছরে ৩ থেকে ৪টি ফসলের আবাদ করে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি করতে পারেন।

এই বিভাগের আরও খবর