,

কাশিয়ানীতে বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে খাল ভরাটের অভিযোগ

কাশিয়ানী (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি: গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে ওয়াপদার খাল ভরাট করে বালু ব্যবসা করার অভিযোগ উঠেছে।

উপজেলার রাতইল ইউনিয়নের চরভাটপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। এতে ওই এলাকার অন্তত চারটি গ্রামের বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে ওই এলাকার কয়েক শ’ বিঘা ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষতির আশংকা করছেন কৃষকেরা।

জানা গেছে, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোবরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ঠিকাদার ফয়সাল কবির কদরের চর ভাটপাড়া এলাকায় একটি বালুর চাতাল করে সেখানে ড্রেজার দিয়ে বালি উত্তোলন করছেন। সেই চাতালের বালু ও পানি নিষ্কাশন হয়ে খালে গিয়ে পড়ছে। এতে ক্রমেই খালটি বালুতে ভরাট হয়ে যাচ্ছে।

স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার জঙ্গল মুকুন্দপুর, বুধপাশা, পারকরফা সুইচ গেট হয়ে চর ভাটপাড়ার দক্ষিণ পাশ দিয়ে মধুমতি নদীতে মিলিত হয়েছে খালটি। এ খাল দিয়েই ওই এলাকা ও ক্ষেতের পানি মধুমতি নদীতে নিষ্কাষিত হয়। কিন্তু বালু ব্যবসায়ীরা পাইপ লাইনের মাধ্যমে বালু এনে ওই খালের মধ্যে ফেলছে। পরে এখান থেকে বিভিন্ন লোকের কাছে তা বিক্রি করছেন। খালে বালু ফেলার কারণে চলতি বোরো মৌসুমে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে এলাকার কৃষকরা।

চরভাটপাড়া গ্রামের কৃষক আবুল বাশার শেখ বলেন, বর্ষা মৌসুমে এলাকার বেশ কয়েকটি গ্রামের পানি এ খাল দিয়ে মধুমতি নদীতে বের হয়। খালের কারণে তারা জলাবদ্ধতার হাত থেকে রক্ষা পান। আবার চাষের জমিতে পানি লাগলে এই খালের থেকে সেচ দিয়ে নেয়া হয়। মাঠে ঠিক মতো ফসল ফলে। এই খাল বাঁচাতে না পারলে এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে।’

এ বিষয়ে ঠিকাদার ফয়সাল কবির কদরের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আমি মধুমতি নদীর বালু মহলটি ইজারা নিয়ে স্থানীয় বালু ব্যবসায়ীদের কাছে ঠিকা দিয়েছি। তারা ওই বালু মহল থেকে বালু উত্তোলন করছে। তারা যদি বালু উত্তোলন করতে গিয়ে খাল ভরাট করে ফেলে, তাহলে বালু ব্যবসায়ীদেরকে বালু কাটতে নিষেধ করে দেব।

কাশিয়ানী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিন্টু বিশ্বাস বলেন, বিষয়টি মৌখিকভাবে জেনেছি। কেউ যদি সরকারি খাল ভরাট করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গোপালগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বিশ্বজিৎ বৈদ্য বলেন, এ বিষয়ে মৌখিক অভিযোগ পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে খালের মধ্যে যাতে বালু না যায় তার জন্য বলেছি। যেটুকু বালু পড়ে খাল ভরাট হয়েছে তা দ্রুত অপসারণ করার নির্দেশ দিয়েছি। বালু সরিয়ে না ফেললে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই বিভাগের আরও খবর