বিডিনিউজ ১০ ডেস্ক: সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। তিনি ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এরশাদের উপ-প্রেস সচিব দেলোয়ার জালালী জানান, ৪টা ১০ মিনিটে এরশাদকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছে।
এর আগে দুপুরে ছেলে সাদ এরশাদকে নিয়ে স্বামীকে দেখতে সিএমএইচে যান রওশন এরশাদ। এ সময় তার সঙ্গে এরশাদের ছোট ভাই ও জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জি এম কাদের, দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদও ছিলেন।
দুপুর ২টার দিকে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে রওশন এরশাদ বলেন, ওনার (এরশাদ) শারীরিক অবস্থা সংক্রান্ত সব প্রতিবেদন সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকদের কাছে পাঠানো হয়েছে। ডাক্তাররা কী মতামত দেন সেটার ওপর নির্ভর করে আমরা দেখব, অন্য কিছু করা যায় কি-না। এখানকার ডাক্তাররা যত্ন সহকারে চিকিৎসা করছেন, সর্বতোভাবে চেষ্টা করছেন।
জাপা চেয়ারম্যান এরশাদ দীর্ঘদিন ধরে রক্তের রোগ মাইলোডিসপ্লাস্টিক সিনড্রোমে ভুগছেন। তার অস্থিমজ্জা পর্যাপ্ত হিমোগ্লোবিন উৎপাদন করতে পারছে না। গত ২২ জুন সকালে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর এরশাদের ফুসফুস ও কিডনিতে সংক্রমণের বিষয়টি ধরা পড়ে।
রওশন এরশাদ আরও বলেন, ওনার রক্তের একটা সমস্যা ছিল, সেটা এবং বয়স দুটো মিলে অনেক বেশি কমপ্লিকেশন হয়ে যাচ্ছে। এখন আস্তে আস্তে সব অর্গানগুলো উইক হয়ে যাচ্ছে। ডাক্তাররা সর্বোতভাবে চেষ্টা করেছেন।
জাপা চেয়ারম্যানের জন্য নেতাকর্মী ও দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়ে তিনি বলেন, সব কিছু তো আল্লাহর হাতে, আল্লাহ ইচ্ছা করলে আবার পুনর্জীবিত করতে পারেন মানুষকে। এখন সবকিছু আল্লাহর হাতে।
পরে জি এম কাদের বলেন, ওনার (এরশাদ) অবস্থা অবনতির দিকে যাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে অনেক সমস্যা দেখা দিচ্ছে। বার্ধক্যজনিত কারণে এটা হচ্ছে। ওনার সিস্টেমে আগেই সমস্যা ছিল। দোয়া করা ছাড়া আমাদের কিছু করার নেই।
এর আগে সকালে জাপা চেয়ারম্যানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে জি এম কাদের সাংবাদিকদের বলেছিলেন, এরশাদের শারীরিক অবস্থার লক্ষণ শুভ নয়। ফুসফুস ও কিডনির সংক্রমনের উন্নতি যতটা হওয়ার কথা ছিল, ততটা হয়নি। সিঙ্গাপুরে নেওয়ার মতো শারীরিক অবস্থাও নেই। আর সিঙ্গাপুর নেওয়া হলেও তার উপকার হবে কি না তাতে সন্দেহ রয়েছে।