জেলা প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ: ২০১২ সালের ১৩ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় একটি দোকানে ইলেকট্রনিকস পণ্য চুরির অভিযোগে মামলা করেন আতিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি। ওই মামলায় মো. আমান, মো. সিদ্দিক ও ফারুক নামে তিনজনকে আসামি করা হয়।
গত বছরের ৩ ডিসেম্বর ওই মামলাটির জামিন শুনানি হয়। শুনানিতে আসামি আমান আদালতে হাজির হয়ে জানান বাদীর সঙ্গে তার আপস হয়ে গেছে। যথারীতি মামলার বাদীকেও হাজির করেন তিনি।
এরপর শপথবাক্য পাঠ করে ওই বাদী জানান, আসামি আমান জামিনে গেলে তার কোনো আপত্তি নেই। এ সময় আদালতের বিচারক বাদীর নাম-পরিচয় জানতে চাইলে তিনি যথাযথ উত্তর দিতে ব্যর্থ হন। পরে তার স্বাক্ষর নিয়ে অভিযোগপত্রের সঙ্গে মেলানো হয়। কিন্তু স্বাক্ষরটি না মেলায় আদালতের সন্দেহ হলে বাদী দাবি করা ব্যক্তিকে আটক করা হয়।
এ অবস্থায় আটক ব্যক্তিকে আদালত জিজ্ঞেস করলে তিনি স্বীকার করেন যে মিথ্যা বাদী সেজে তিনি আসামি আমানের পক্ষে আদালতে সাক্ষ্য দিতে এসেছেন। তার প্রকৃত নাম মো. সালাম এবং নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের বাক্কা মিয়ার ছেলে তিনি।
মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়ার অভিযোগে এ সময় সালাম ও আমানের বিরুদ্ধে মামলা করেন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বেঞ্চ সহকারী।
মঙ্গলবার মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়ার ওই মামলায় সালাম ও আমানকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ১ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।
নারায়ণগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (দ্বিতীয়) আদালতের বিচারক মোহাম্মদ শামছুর রহমান মঙ্গলবার বিকেলে ওই রায় ঘোষণা করেন।