,

আচরণবিধি লঙ্ঘন: আ.লীগের প্রার্থী বাতিল

জেলা প্রতিনিধি, ঝিনাইদহ: আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে ঝিনাইদহ পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আব্দুল খালেকের প্রার্থিতা বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন।

নির্বাচন কমিশনের উপসচিব মিজানুর রহমানের স্বাক্ষর করা প্রজ্ঞাপনে এ ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

তাতে বলা হয়েছে, গত ১৮ মে প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী কাইয়ূম শাহরিয়ার জাহেদী হিজলের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর, বুধবার সন্ধ্যায় শহরের ধোপাঘাটা ব্রিজ এলাকায় কাইয়ূমের নির্বাচনে প্রচারে হামলা করে নৌকার প্রার্থী খালেকের সমর্থকরা। এর আগে আচরণবিধি লঙ্ঘনের ব্যাখা চাওয়ার পর তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করেন। তার পরও তার সমর্থকরা হামলা চালায়। এ কারণে খালেকের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা।

উপদপ্তরবিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর হুসাইন বলেন, ‘আমরা মনে করি যে আদেশ দেয়া হয়েছে, নির্বাচন কমিশন থেকে তা সম্পূর্ণ অবৈধ। আমাদের ওপর অন্যায় করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আমরা নির্বাচন কমিশনেও আপিল করব এবং আমরা আইনের আশ্রয় নেব।’

জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অশোক ধর বলেন, ‘নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী আব্দুল খালেক এমন কোনো কাজ করেনি যে তার প্রার্থিতা বাতিল হতে পারে। আর ঝিনাইদহ শহরে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি যে নির্বাচন কমিশন তার প্রার্থিতা বাতিল করল।’

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা অভিযোগগুলো মিথ্যা দাবি করে নৌকার আব্দুল খালেক বলেন, ‘এসব ঘটনা সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। আমার কোনো দলীয় সমর্থক বা কর্মী আচরণবিধি লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত না। আর আমার প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমি আইনের আশ্রয় নেব।’

ঝিনাইদহ পৌরসভায় ভোট হবে আগামী ১৫ জুন। নৌকার প্রার্থী না থাকায় এখন মেয়র পদ পেতে লড়বেন নারিকেল গাছ প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহেদী হিজল, মোবাইল ফোন প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজানুর রহমান মাসুম ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী হাতপাখা মার্কার সিরাজুল ইসলাম।

এদের মধ্যে কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহেদী হিজল ও মিজানুর রহমান মাসুম আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী।

এই বিভাগের আরও খবর