নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি সপ্তাহ থেকে অনলাইন পোর্টালগুলোকে নিবন্ধন দেওয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছিলেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ অনলাইন সংবাদপত্র সম্পাদক পরিষদ (বনেক)।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) বনেকের অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সভায় সংগঠনটির নেতারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান।
সভায় বনেকের সভাপতি খায়রুল আলম রফিক বলেন, অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলোকে খুব দ্রুত আইনের আওতায় আনতে পারলে সংবাদপত্রের পরিবেশ আরও সুন্দর হবে। অনলাইন পোর্টালগুলোর নিবন্ধন না থাকায় সহজেই অনেকে এর অপব্যবহার করছে।
নিবন্ধনে যেন কোনো ধরনের অনিয়ম না হয়, এ আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, অনলাইন পোর্টাল বা অনলাইন সংবাদমাধ্যমের ভবিষ্যৎ খুব সম্ভাবনাময়। এ শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে এর নিবন্ধনে স্বচ্ছতা থাকতে হবে। না হলে অন্য সংবাদমাধ্যমের মতো এর মালিকানাও কালো টাকার মালিকদের কাছে চলে যাবে।
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম আসাদ বলেন, অনলাইন নিউজ পোর্টাল ভবিষ্যতে সংবাদমাধ্যমকে নেতৃত্ব দেবে। তাই এটাকে এখন থেকেই একটি নিয়মের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। প্রতিটি অনলাইনের জন্য প্রয়োজন স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা। জবাবদিহিতা না থাকলে সেখানে গুজবের মতো মারাত্মক অপরাধ সংগঠিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে আমিরুল ইসলাম আসাদ বলেন, বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার। এ সরকার অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলোকে একটি নিয়মের মধ্যে আনার জন্য নিবন্ধনের ব্যবস্থা করছে, যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। সরকার সবসময় অনলাইন পোর্টালের সঙ্গে থাকবে এ কামনা করি।
সভা চলার সময় টেলিফোনে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বনেকের সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং জনপ্রিয় জাতীয় দৈনিক অধিকার ও এর অনলাইন ভার্সনের সম্পাদক তাজবীর হোসেইন সজিব।
অধিকার সম্পাদক বলেন, সরকার যে উদ্যোগ নিয়েছে তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। আমি আশা করব, সরকার অন্য সংবাদমাধ্যমকে যেসব সুবিধা দিয়েছে, সেগুলো অনলাইন পোর্টালকেও দেবে। পাশাপাশি সরকারকে অবশ্যই একটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে, অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলো উত্তরণের মাধ্যমে অনেক উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছে। যারা সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ তৈরিতে সহযোগিতা করছে। সরকার যেন তাদের সুনজরে রাখে।
বনেকের অনির্ধারিত এ সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন— প্রচার সম্পাদক নাহিদুর রহমান, সুমন ভট্টাচার্য, মাসউদুর রহমান, মনির মাহমুদ প্রমুখ।
২০১৫ সালের ৯ নভেম্বর এক তথ্য বিবরণীতে তথ্য অধিদপ্তর জানায়, সরকারি সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত ও অপসাংবাদিকতা রোধে অনলাইন পত্রিকাগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় আনা হবে। এ জন্য নির্ধারিত নিবন্ধন ফরম ও প্রত্যয়নপত্র বা হলফনামা পূরণ করে তথ্য অধিদপ্তরে জমা দিতে বলা হয়। নিবন্ধন সংক্রান্ত আবেদন জমা দেওয়ার পর এগুলো যাচাই-বাছাই ও পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের সন্তোষজনক রিপোর্ট পাওয়ার পর তথ্য অধিদপ্তর চিঠির মাধ্যমে নিবন্ধনের বিষয়ে আবেদনকারীদের জানিয়ে দেবে। চলমান সব অনলাইন পত্রিকাকে ওই বছরের ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে আবেদন করতে বলা হয়। এরপর আরও কয়েক দফা সময় বাড়ানো হয়। নিবন্ধন পেতে দুই হাজারেরও বেশি অনলাইন গণমাধ্যম আবেদন করেছে বলে তথ্য অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে।