,

প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মেয়েকে ‘ধর্ষণচেষ্টা’ সাজিয়ে মামলা!

জেলা প্রতিনিধি, গোপালগঞ্জ: জায়গা-জমি নিয়ে বিরোধ আপন দেবরের সাথে। দেবরসহ প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে হাতিয়ার হিসেবে মেয়েকে ‘ধর্ষণচেষ্টা’ মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে মামলা দায়েরের অভিযোগ উঠেছে এক নারীর বিরুদ্ধে। আর এ মামলা থেকে রক্ষা পায়নি এলাকার ইউপি সদস্য ও দশম শ্রেণির এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীও।

এমন ঘটনা ঘটেছে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার রাজপাট ইউনিয়নের বরইহাট গ্রামে। এই মামলাবাজ পরিবারের হাত থেকে বাঁচতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ওই গ্রামবাসী।

ভূক্তভোগী মোজমাল মোল্যা বলেন, ‘জায়গা-জমি নিয়ে আমার আপন ভাই জুবায়েরের সাথে বিরোধ চলছিল। এরই জের গত ১৩ জুলাই আমার ভাবি শিমুল বেগম বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ আদালতে একটি ধর্ষণচেষ্টা মামলা দায়ের করেন। মামলায় আমিসহ তিনজনকে আসামী করা হয়েছে। অথচ এ ধরণের কোন ঘটনা ঘটেনি। অপরাধ না করেও মামলার আসামী হয়ে অযথা হয়রানীর শিকার হচ্ছি। মিথ্যা মামলা থেকে বাঁচতে চাই। মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’

রাজপাট ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য হাফিজুর ভূঁইয়া বলেন, ‘ঈদের পরের দিন শিমুল বেগমের মেয়ে নিয়ে একটি ঝামেলা হয়। আমি জনপ্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত থেকে সেটির সমাধান করে দেই। এতে শিমুল বেগম ক্ষিপ্ত হয়ে আমার নামে মামলা দায়ের করেছেন। এরআগেও এলাকার একাধিক মানুষকে অহেতুক মামলা দিয়ে হয়রানী করেছেন ওই নারীর পরিবার। আমি মিথ্যা মামলা থেকে বাঁচতে চাই এবং এর বিচার চাই।

মামলার চার নম্বর সাক্ষী মো. দাউদ আলী মোল্যার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ‘আমি ঘটনার কিছু জানি না। তবে শুনেছি আমার ভাইয়ের স্ত্রী কোর্টে একটি মামলা করেছে। মামলায় আমাকে সাক্ষী করা হয়েছে। তবে এ ধরণের কোন ঘটনা ঘটেনি।’

সরেজমিনে অনুসন্ধানে গেলে এলাকার লোকজন জানান- জমাজমি নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছিল। কিন্তু ধর্ষণের চেষ্টার মত কোন ঘটনা ওই গ্রামেই ঘটেনি। ওই নারী মিথ্যা মামলা দিয়ে এলাকার নিরীহ লোকজনকে হয়রানি করার চেষ্টা করছেন। এরআগেও ওই নারীর পরিবারের মিথ্যা মামলায় হয়রানীর শিকার হয়েছেন অনেকে বলেও জানান এলাকাবাসী।

মামলার বাদী শিমুল বেগমের কাছে মামলার ঘটনার বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যা হওয়ার আদালতে হবে। এর বাইরে তিনি সাংবাদিকদের কাছে কোন ধরণের বক্তব্য দিতে রাজি হননি।’

কাশিয়ানী থানার ওসি মো. সওগাতুল আলম বলেন, ‘আদালতে মামলা হয়েছে। থানায় মামলার কোন কাগজ আসেনি। তবে কেউ মিথ্যা মামলা করলে তার সাজার বিধান রয়েছে।’

-লিয়াকত হোসেন লিংকন

এই বিভাগের আরও খবর