জেলা প্রতিনিধি, নরসিংদী: নরসিংদীর রায়পুরা থেকে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিবারের অভিযোগ, গাছের সঙ্গে বেঁধে তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে বড় দুই ভাই।
উপজেলা দড়ি হাইরমারা গ্রামের পশ্চিমপাড়া থেকে সোমবার দুপুর ১২টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
মৃত ২৬ বছরের যুবকের নাম শফিক মিয়া। অভিযুক্ত দুই ভাই হলেন মাসুম মিয়া ও মোতালিব মিয়া।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুর রহমান।
স্থানীয়দের বরাতে তিনি জানান, দড়ি হাইরমারা গ্রামের মৃত মোর্শেদ মিয়ার পাঁচ ছেলে। সুমন মিয়া নামে এক ছেলে গাজীপুরের টঙ্গীতে থাকেন। তার নামে বাড়িতে বিদ্যুতের মিটার আছে। সেই মিটার থেকে বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন শফিক। এতে সুমনের আপত্তি না থাকলেও মাসুম ও মোতালিব বাধা দেন।
একপর্যায় নিজেকে সুমন পরিচয়ে মিটারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য পল্লীবিদ্যুৎ অফিসে আবেদন করেন শফিক।
বিদ্যুৎ অফিসের লোকেরা রোববার দুপুরে সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করতে শফিকদের বাড়িতে যায়। এ সময় তারা দেখে ওই বাড়িতে মোতালিবের নামেও একটি মিটার আছে। তবে তিনি ও মাসুম অবৈধভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার করছেন।
এরপর তারা মোতালিব ও সুমনের নামের মিটারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে চলে আসে।
এর জেরে রোববার গভীর রাতে শফিককে বাড়ির আঙিনার একটি গাছে বেঁধে বেধড়ক মারধর করেন মোতালিব ও মাসুম। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় শফিকের। এরপর পালিয়ে যান মোতালিব ও মাসুম।
নিহতের মা আশেয়া বেগম বলেন, ‘সুমনের বিদ্যুতের লাইন থেকে শফিকের বিদ্যুৎ ব্যবহার নিয়ে পারিবারিক কলহ তৈরি হয়। একপর্যায় আমার বড় দুই ছেলে মিলে শফিককে গাছে বেঁধে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। আমি এর বিচার চাই।’
নরসিংদী পল্লীবিদ্যুৎ-২ এর চরসুবুদ্ধি সাব জোনাল অফিসের এজিএম আব্দুল আজিজ বলেন, ‘আমরা রোববার মিটার ট্যাগিং করতে গিয়ে দেখি বিদ্যুত চুরি করে ব্যবহার করা হচ্ছে শফিকদের বাড়িতে। পরে ওই বাড়ির দুটি মিটারের সংযোগ বিছিন্ন করা হয়।’
ওসি আজিজুর রহমান জানান, মরদেহের সুরতহাল শেষে নরসিংদী সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি। তবে অভিযুক্ত দুই ভাই পলাতক। তাদের ধরতে অভিযান চলছে।