রাজশাহী ব্যুরো: কিশোরীকে বিয়ে করতে না পেরে তার হবু বরকে মাদক দিয়ে ফাঁসানোর গুরুতর অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় মিল্টন নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। গোদাগাড়ী উপজেলার দেওপাড়া গ্রামের এ ঘটনা ঘটিয়েছে স্থানীয় ইউপি মেম্বার প্রদীপ এক্কা (৪২)।
বৃহস্পতিবার রাতে রাজশাহী জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ইফতে খায়ের আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য প্রদীপ এক্কা পাশের পূজাতলা গ্রামের এক কিশোরীকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। কিন্তু মেয়ের বাবা তাতে আপত্তি করে পাশের চৌদুয়ার গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে ঠিক করেন। এতে ক্ষিপ্ত হন প্রদীপ এক্কা। গত বুধবার মিল্টন নামের এক যুবকের মাধ্যমে ৯ বোতল ফেনসিডিল ও ১০০ গ্রাম হেরোইন ওই কিশোরীর হবু বরের বাড়িতে রেখে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ তাকে আটক করে মিল্টনের দেখানো স্থান থেকে মাদকগুলো উদ্ধার করে।
এতে সন্দেহ হয় গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রুহুল আমিনের। তিনি স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে মিল্টনকে ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এক পর্যায়ে মিল্টন মাদক দিয়ে ওই যুবককে ফাঁসানোর কথা স্বীকার করে। এ ঘটনায় মিল্টনকে আটক করে পুলিশ। পরিস্থিতি টের পেয়ে প্রদীপ এক্কা পালিয়ে যান। এ ঘটনায় মিল্টন ও মেম্বার এক্কাকে আসামি করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে গোদাগাড়ী থানায় মামলা হয়েছে। মিল্টনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।