জেলা প্রতিনিধি, চাঁদপুর: সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুরের ১৫ গ্রামে উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর।
জেলার হাজীগঞ্জের সাদ্রা মাদরাসা মাঠে বৃহস্পতিবার (১৩ মে) সকাল সাড়ে ৯টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। জামাতে ইমামতি করেন মাওলানা আরীফ চৌধুরী।
এ সময় আরীফ চৌধুরীর অনুসারী মুসল্লিরা ঈদের জামাতে অংশ নেন। পরে ক্রমান্বয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ, ফরিদগঞ্জ, মতলব, কচুয়া ও শাহরাস্তিসহ পাঁচ উপজেলার প্রায় ১৫টি গ্রামে আজ ঈদ উদযাপিত হচ্ছে। ঈদের নামাজ শেষে মুসলিম উম্মাহর মঙ্গল কামনায় মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
মাওলানা আরীফ চৌধুরী বলেন, মঙ্গলবার (১১ মে) সোমালিয়া, নাইজার ও পাকিস্থানে চাঁদ দেখে গেছে বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে। এ খবর নির্ভরযোগ্য ছিল না। তাই বুধবার (১২ মে) আমরা ঈদুল ফিতর উদযাপন করিনি।
তিনি বলেন, যারা দুই দিন আগে ঈদ করেছে তারা ভুল তথ্যের মধ্যে দিয়ে ঈদ পালন করেছে। আর সেই সংখ্যা খুবই কম। বুধবার (১২ মে) হাজীগঞ্জ উপজেলার শমেষপুর ও সাদ্রা এলাকার দুটি গ্রামে ঈদের নামাজ আদায় করা হয়।
মাওলানা আরীফ চৌধুরী জানান, চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা, শমেষপুর, প্রতাপপুর, বলাখাল, অলিপুর এবং ফরিদগঞ্জ উপজেলার সুরাঙ্গচাইল, বাসারা, উভারামপুর, উটতলী, বাছপাড়া, কাইতাড়া, নুরপুর, সাচন মেঘ, ভূলাচোঁ, বদরপুর, আইটপাড়া গ্রামে বৃহস্পতিবার ঈদের নামাজ আদায় করা হয়েছে।
এর আগে সোমালিয়া, নাইজার ও পাকিস্থানে চাঁদ দেখে গেছে- এমন খবরের ভিত্তিতে গতকাল বুধবার (১২ মে) চাঁদপুরের কয়েকটি গ্রামে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে উৎসবমুখর পরিবেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়।
১৯২৮ সাল থেকে মুফতি আল্লামা ইসহাক (রহ.) কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত চাঁদপুর জেলার সাদ্রা ঐতিহাসিক দরবার শরিফের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা সর্বপ্রথম চাঁদ দর্শনের নির্ভরযোগ্য সংবাদের ভিত্তিতে প্রতিবছরই ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহাসহ ধর্মীয় সকল উৎসব পালন করেন। তবে এবার তাদের মাঝে দ্বন্দ্বের কারণে বুধবার ও বৃহস্পতিবার দুইদিন আগাম ঈদ উদযাপিত হয়।