জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্র জানায়, শিক্ষামন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী এ বছর এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরি করা হয়েছে। এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ৬০ কর্ম দিবস ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ৮০ কর্ম দিবসের পাঠ পরিকল্পনা প্রস্তুত। এই সিলেবাসের আলোকেই শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি আগামী ২২ মে পর্যন্ত বৃদ্ধি করায় স্বাভাবিকভাবেই পরীক্ষার্থীদের সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের পাঠদান কার্যক্রম পিছিয়ে যাবে। ফলে আগামী সেপ্টেম্বরে এসএসসি ও ডিসেম্বরে এইচএসসি পরীক্ষা আয়োজনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যখনই খোলা হোক না কেন শিক্ষার্থীদের সশরীরে পাঠদানের পরই পরীক্ষা আয়োজন করা হবে। সেক্ষেত্রে পরীক্ষা আয়োজনে সময় লাগতে পারে। কিন্তু এবছর আর অটোপাসের সুযোগ নেই।
এ বিষয়ে ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক প্রফেসর মোহাম্মদ আবুল মনছুর বলেন, আগামী ১ এপ্রিল থেকে এসএসসি পরীক্ষাদের ফরম পূরণ শুরু হচ্ছে। এবারো গত বছরের মত শিক্ষার্থীদের নির্বাচনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। তবে বোর্ড পরীক্ষা আয়োজনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে।
জানতে চাইলে আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় বোর্ড সাব কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর নেহাল আহমেদ সোমবার (২৯ মার্চ) বলেন, করোনা সংক্রমণ বাড়ায় সবকিছুই পিছিয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থায় চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নির্ধারিত সময়ে নেয়া সম্ভব হচ্ছে না। যেহেতু ঈদের পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, সেক্ষেত্রে হয়তো দেখা যাবে সেপ্টেম্বরে এসএসসি ও ডিসেম্বরে এইচএসসি পরীক্ষা নেয়া হবে।
অটোপাসের সুযোগ নেই জানিয়ে প্রফেসর নেহাল আহমেদ আরো বলেন, আমরা আর অটোপাসে যেতে চাই না। পরীক্ষার মাধ্যমেই শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট দিতে চাই। এক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যখনই খোলা হবে, তখন এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ৬০ দিন আর এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ৮০ দিন ক্লাস করিয়ে পরীক্ষা নেয়া হবে। তবে সবকিছুই নির্ভর করছে করোনা পরিস্থিতির ওপর। করোনা পরিস্থিতি যেভাবে খারাপের দিকে যাচ্ছে, তাতে যেকোনো সিদ্ধান্তই হতে পারে।