বুধবার (১৭ মার্চ) আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘সময়টা এখন তাপদাহের দিকেই যাচ্ছে। এখন যে অবস্থা ৩৬ বা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, তা তাপদাহের কাছাকাছি। এখন বৃষ্টিপাত না থাকলে তাপদাহতে চলে আসবে। হয়তো দু-এক জায়গায় তাপমাত্রা বেড়ে যাবে। তারপর আস্তে আস্তে বেশি এলাকায় বেড়ে যাবে। দুই-তিন দিন পর যশোর বা রাজশাহীর দু-এক জায়গায় হয়তো তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে উঠে যেতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তাপমাত্রা একদিন ৩৬ ডিগ্রি বা তার ওপরে উঠল, পরে নেমে গেল। তাহলে তো আর তাপদাহ হয় না। বড় একটা এলাকা নিয়ে হতে হবে এবং চলমান থাকতে হবে দুই-তিন দিন। তখন ওই এলাকাকে আমরা তাপদাহের মধ্যে নিয়ে আসি। তবে তাপপ্রবাহের সময় আসছে। এখন তাপমাত্রা একটু একটু বাড়বে।’
এদিকে বুধবার (১৭ মার্চ) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
এর আগে আবহাওয়ার দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এ মাসের শেষের দিকে দেশের পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের ওপর দিয়ে ১ থেকে দুটি মৃদু (৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা) বা মাঝারি (৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি) ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
লঘুচাপের বর্ধিতাংশ হিমালয়ের পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে মোংলা ও যশোরে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৩৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।