তিন বছর আগে ঢাকার কাকরাইলে মা ও ছেলেকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগে স্বামী আব্দুল করিম, তার দ্বিতীয় স্ত্রী মুক্তা ও মুক্তার ভাই জনিকে আসামি করে মামলা করেন নিহত শামসুননাহারের ভাই আশরাফ আলী।
২০১৮ সালের ১৬ই জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা থানার পরির্দশক আলী হোসেন তিন আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগ পত্র দেন। পরের বছর ৩১শে জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে গঠনের মধ্যদিয়ে শুরু হয় বিচার।
গত ১০ই জানুয়ারি রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে রায়ের জন্য এই দিন ঠিক করেন বিচারক। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ২২ সাক্ষীর মধ্যে ১৭ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বলেন, ‘চাঞ্চল্যকর এ জোড়া খুন সাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিতে এ মামলায় আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হবে আশা করছি।’
বাদীপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহমেদ বলেন, ‘চাঞ্চল্যকর এ জোড়া খুন মামলায় আসামিরা সর্বোচ্চ শাস্তি পাবে আশা করছি। আসামিদের স্বীকারোক্তি আছে। তারা কে কে খুন করেছেন তা স্বীকারও করেছেন।’
অন্যদিকে, মা ও ভাইকে নৃশংসভাবে হত্যার দায়ে সৎ মা ও মামার মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানিয়ে বাবা করিমের খালাস চান নিহত শামসুননাহারের বড় ছেলে মশিউর করিম মিশু।
২০১৭ সালের ১লা নভেম্বর সন্ধ্যায় বাড়িতে ঢুকে শামসুন্নাহারকে গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় ছোট ছেলে “ও’ লেভেলের শিক্ষার্থী শাওন ঘটনাটি দেখে ফেলায় তাকেও হত্যা করে তারা।